পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে যে র্তাহার চক্ষে জল আসিয়া পড়িত, কিন্তু তথাপি নীরবে তিনি সবই সহ্য করিতেছিলেন। তিনিই দেখিয়া শুনিয়া লাল টুকটুকে লেী গৃহে আনিয়াছেন, এখন আর অনুতাপ করিলে কি হইবে । দুঃখের কথাটা মুখ ফুটিয়া জানাইবারও তাহার আর মুখ ছিল না। কাত্যায়নী নীরবে গৃহের ভিতর প্রবেশ করিয়া কিছুক্ষণ বধুর মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয় ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ষ্ঠ বোমা, এমন সময় বসে ট্রাঙ্ক গুচুচ্ছে কেন ? নরুর বার্লিট একটু গরম করে আনলেও তে পারতে। সে একলাট পড়ে আছে, একটু পাশে বসে মাথাটায়ও তো হাত বুলিয়ে দিতে পার তে।” ங் শ্বাশুড়ীকে গুহের ভিতর প্রবেশ করিতে দেখিয়া বঙ্কিম গ্রীবায় লালিত্যময়া শ্বাশুড়ীর মুখের দিকে চাহিয়াছিল, অতি কর্কশ কণ্ঠে উত্তর দিল, “দিন রাত রুগীর পাশে বসে থাকা আমার কৰ্ম্ম নয়, চুপটি করে বসে মাথায় হাত ফণত বুলতে আমি পারবো না । তারপর আমার যখন ব্যামো হবে তখন দেখবে কে ? তাছাড় আসছে সোমবার আমার পিসতুতে ভায়ের বিয়ে, আমাকে কালষ্ট সেখানে যেতে হবে —* সপুর কথায় কাত্যারনা একেবারে অবাক হইয়া গিয়াছিলেন, স্বামী মৃত্যু শয্যায় পড়িয়া ছটফট করিতেছে, তবুও মানুষের পিস্তুতে ভায়ের বিবাহের আনন্দ করিতে যাইতে ইচ্ছা হয় । বধুর কথায় কাত্যায়নীর সমস্ত বুকটা কাপাইরা একটা দীর্ঘশ্বাস বাহির হইয়া আসিল, তিনি মহা বিস্তৃত স্বরে,ৰলিলেন, “সে কি [ १e ]