পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে কথা, নরুকে এই অবস্থায় ফেলে তুমি তোমার পিস্তুতো ভায়ের বিয়েতে যাবে ? যেতে ইচ্ছেও তো মানুষের হয় ! ডাক্তার কি বলেছে তা তো সবই শুনেছো ।” কাত্যায়নী আর বলিতে পারিলেন না, দুই ফোটা অশ্রু তাহার নয়ন বহিয়া গড়াইয়া পড়িল। লালিত্যময়ী মুখখানা ভার করিয়া বলিল, “শুনবে না কেন, ডাক্তাব এমন আর কি বলেছে, বলেছে এখন তেমন বিশেষ—” বধূর উত্তর শুনিয়া, আর কোন কথা কহিতেই কাত্যায়নীর ইচ্ছা ছিল না ; কিন্তু পুত্রের মুখ চাহিয়া তিনি ধীরে ধীরে আবাব বলিলেন, “ডাক্তার যাই বলুক, তুমিতে সব দেখতে পাচ্ছি, নরর এই দশা দেখে যাবে কি করে ? সেখানে গিয়ে সুস্থির হয়ে থাকৃতে পারবে ? মানুষে কি এ পারে ? তা ছাড়া কাল আমরা নরুকে নিয়ে হাওয়া বদলাবার জন্তে মধুপুর যাব, আর তুমি এই সময় বাপের বাড়ী চলে যাবে ?” লালিত্যময়ী ঠোট দুইখানি উলটাইয়া বলিল, “ম এত করে লিখেছে আমায় যেতেই হবে। আমার পিসে মশায়ের ওই একটা মাত্র ছেলে, মা লিখেছে বিয়েতে খুব ধূম হবে, আমি না গেলে পিসিমা ভারি দুঃখ করবেন। মারও মনে কষ্ট হবে ।” বধুর উপরে যেটুকু শ্রদ্ধা কাত্যায়নীর এত দিন ছিল, বধুর এই কথাবার্তায় সেটুকুও তাহার নষ্ট হইয়া গেল। ক্ষোভে, দুঃখে, স্বণায় তাহার নয়ন ফাটিয়া জল আসিবার মত হইল। তিনি অশ্রী জড়িত কণ্ঠে, বেশ একটু উত্তেজিত স্বরে বলিলেন, “তোমার [ १७ ]