পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে হচ্ছে,—বুঝি এমন সকাল আমার জীবনে আর কখন এমন হয়ে ফুটে ওঠেনি। আজ যেন আমার সমস্ত প্রাণ ভরে উঠছে। তুই আজ বোন তোর সমস্ত দেহটাকে পবিত্র করে নিয়ে ব্রহ্মচারিণী বেশে আমার রোগ শয্যায়,—আমার শিহরে এসে বসেছিস্ । তোরই কোলের কাছে মাখা রেখে,—তোকে প্রাণভবে দেখতে দেখতে আমার শেষ নিশ্বাস পৃথিবীতে চিরদিনেব মত শেষ হয়ে যাবে ;–এর চেয়ে আর মানুষের বেশ কি সুখ হতে পারে বোন ! এর অধিক চাইবার মত আর তো কিছু আমি ভগবানের কাছেও খুঁজে পাইনি। তোকে এই চির দুঃখিনী বেশে, চিরদিন আমায় দেখতে হবে। বেঁচে আর আমার লাভ কি বোন ! তার চেয়ে যে মৃত্যু আমার মহা আনন্দের। ভগবানের কাছে শুধু এইটুকু প্রার্থনা করি, জন্মজন্মান্তরে যেন তোরই ভাই হয়ে জন্মাতে পারি। আর তুষ্ট ও যেন আমার এমনি ধারা বোন হয়ে,—এমনি করে আমার চার পাশে সোণার স্বৰ্গ গড়ে তুলিস।” নরেন্দ্রনাথের সমস্ত শবার ঝিম্ ঝিম্ করিয়া আসিল,— কণ্ঠ শুষ্ক হইল, সে অার একটা গাঢ় নিশ্বাস ফেসিয়া ধীরে ধারে চক্ষু মুদ্রিত করিল। নরেন্দ্রনাথের এই করুণ কথা গুলিতে পঙ্কজিনীর সমস্ত শরীব ক্রমেই শিথীল হক্টয়া আসিতেছিল, সে প্রাণপণ শক্তিতে নিজেকে একটু দৃঢ় করিয়া, অঞ্চলে চোখের জল মুছিতে মুছিতে অশ্র জড়িত কণ্ঠে বলিল, “নরেন দা একটু বেদনার বস খাও । গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ।” পঙ্কজিনীর স্বরে নরেন্দ্রনাথ আবার চক্ষু মেলিল। পঙ্কজিনী [ R & ] 4