পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে নরেন্দ্রনাথের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। নরেন্দ্রনাথ একটুখানি নীরব থাকিয়া আবার বলিতে লাগিল, “দেখ বোন, আমার তো দিন ফুরিয়ে এসেছে। ছ'দিন পরে কোথায় অজানা কত দূরে চলে যাবো তার কিছুই জানিনি, তবু আমার সে জন্তে কোন দুঃখ হচ্ছে না, শুধু আমার বড় দুঃখ মার জন্তে। আমি আমার মাকে জানি,—তার প্রাণ বড় নরম । তিনি এ দুঃখ সহ কর্তে পাৰ্ব্বেন না,—তার বুক ভেঙ্গে যাবে। আমায় হারিয়ে তিনি নিশ্চয়ই পাগল হ’য়ে যাবেন। দেখিস বোন তাকে দেখিস,-আমার মা যেন না দুঃখ পায় । তার কাছে কাছে থেকে তাকে মা বলে ডেকে আমার অভাব জানতে দিসনি।” নরেন্দ্রনাথের কণ্ঠ রোধ হইল,—এক ফোটা তপ্ত অশ্র নয়ন কোণে উচ্ছলিয়া উঠিল । পঙ্কজিনী তাড়াতাড়ি অঞ্চলে তাহ মুছাইয়া দিয়া শান্ত অথচ দৃঢ় স্বরে বলিল, “ছি নরেনদা তুমি পুরুষ মানুষ—তুমি এত দুৰ্ব্বল। রোগ হ’লেই যে মানুষ মারা যায়—এ কথা তোমায় কে বলেছে । ব্যম হয়েছে ভালো হয়ে যাবে,—তোমার কি আমন চঞ্চল হওয়া উচিত। তুমি ছাড়া তোমার বাপ মার যে আর কেউ নেই ভাই । ভগবান কখন এত নিষ্ঠুর হতে পারেন না। আমার মন বলছে তুমি ভালো হবে,— তুমি আবার সুখী হবে।” “সুখী হবো।- নরেন্দ্রনাথ মৃদু হাসিল । তাহার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর অতি ক্ষীণ ভাবে বাহির হইয়া আসিল, “মুখী হ’বে ! বল বোন কেমন ক’রে স্বর্থী হবো ? তুই তোর সব সুখ [ సామా ]