পাতা:কাল-পরিণয় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দারোগার দপ্তর, ১৬২ সংখ্যা। থাকিতে দেখি নাই। সম্প্রতি দুই দিন হইল, উহাতে ঐরূপ লোকের সমাগম দেখিতে পাইতেছি। অদ্য আবার দেখিলাম যে, আমাদের বাবুর একজন বন্ধু উহার ভিতর প্রবেশ করিয়া- ছিলেন এবং কিছুক্ষণ পরে বাহির হইয়া গেলেন । তোমার বাবুর সে বন্ধুর নাম কি? তাঁহার নাম উপেন্দ্র রাবু। বহুবাজার অঞ্চলে তিনি থাকেন। বাবু থাকিতে প্রায়ই তিনি বাবুর বাটীতে আসিতেন, আর বাবুর সহিত একত্ৰ বসিয়া মধু খাইতেন। আমি। বহুবাজারের কোথায় বলিতে পার ? চাকর। তাহা জানি না। আমি। আমাকে তাহাকে দেখাইয়া দিতে পার ? চাকর। এখানে আসিলে দেখাইব। আমি। পার্শ্বের ঐ ভাড়াটীয়া বাটীটি কাহার বলিতে পার ? চাকর। উহা কঁাঁসাড়িপাড়ার বাবু অমরনাথ মুখুয্যের। তিনি ট্যাক্স অফিসে কাজ করেন। . · চাকরকে আর আমি কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলাম না। আমি। চাকর। চলিয়া গেল। আমি মনে মনে বলিতে লাগিলাম, একজন স্ত্রীলোক পার্শ্বের বাটী ভাড়া লইয়াছে শুনিলাম। সে স্ত্রীলোক কি বেঙ্গা ? কৈ, এখানে ত সে বেশ্যাবৃত্তি করিতেছে না। তবে সে কে ? হয় ত তাহার বা তৎসংসৃষ্ট আর কাহারও কোন গুপ্ত অভিসন্ধি আছে। ইহা ভাবিতে ভাবিতে আমি সে স্থান পরিত্যাগ করিয়া জোড়া- সাঁকোর অমরনাথ মুখুযোর বাটীতে গমন করিলাম। সেখানে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “মহাশয় ! আপনার দর্জি