এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
বলে নাহি শক্ত দ্রোণের সংহতি।
এই মনে চিন্তা দ্রুপদ ভূপতি।। ধৃতরাষ্ট্রপুত্র দুষ্টমতি দুর্য্যোধন। আমারে সভাতে নিল করিয়া বন্ধন।। দ্রোণ দুর্য্যোধন দুই বধের কারণ। যজ্ঞ করিবারে দ্বিজ কৈল নিয়োজন।। দ্বিজবাক্য মন্ত্র বিনা নাহিক উপায়। এত ভাবি যজ্ঞ কর পাঞ্চালের রায়।। অর্দ্ধেক পাঞ্চাল ভাগীরথীর দক্ষিণ। তার অধিকারী হৈল দ্রুপদ রাজন।। অহিচ্ছত্রা নামে ভুমি গঙ্গার উত্তর। অর্দ্ধেক পাঞ্চালে দ্রোণ হলেন ঈশ্বর।। ------ যুধিষ্ঠিরের যৌবনরাজ্যাভিষেক। মুনি বলিলেন রাজা কর অবধান। অনন্তর শুন পিতামহ উপাখ্যান।। ধৃতরাষ্ট্র নরপতি বুঝিয়া বিধান। কুরুকুলে জ্যেষ্ঠ কুন্তীপুত্র যুধিষ্ঠির।। সকল জনের প্রিয় ধর্ম্মশীল ধীর।। যুধিষ্ঠিরে অভিষেক কৈল যুবরাজ। পাইল পরম প্রীতি সকল সমাজ।। যুধিষ্ঠির সৌজন্যেতে সবে হৈল বশ। পৃথিবী হইল পূর্ণ ধর্ম্মপুত্র যশ।। ভীমার্জ্জুন দুই ভাই রাজাজ্ঞা পাইয়া। চতুর্দ্দিকে রাজগণে বেড়ায় শাসিয়া।। জিনিল অনেক দেশ কত কব নাম। বহু রাজা সহ হৈল অনেক সংগ্রাম।। উত্তর পশ্চিম পূর্ব্ব জম্বুদ্বীপ আদি। জিনিয়া আনিল দোঁহে বহু রত্ন নিধি।। কুরুকূলে ক্রমে যেই ভীমার্জ্জুন দুই ভাই নানা রত্নে হৈল পূর্ণ হস্তিনানগর। পৃথিবী পুরিল রত্নে দুই সহোদর।।
ধন্য ধন্য বলি ক্ষিতি হইল ঘোষণ।। কুরুবংশ যত রাজগণ। পাণ্ডব সূর্য্যেতে যেন ছায়া আচ্ছাদন।। দিনে দিনে বাড়ে তেজ শুক্লপক্ষ শশী। পাণ্ডবের কীর্ত্তি লোক গায় অহর্নিশি।। ধৃতরাষ্ট্র দেখিয়া হইল পাণ্ডবের যশকীর্তি বাড়ে নিতি নিতি।। বিধির লিখন কেবা খণ্ডাইতে পারে। সংশয় হইল চিত্তে অন্ধ নরবরে।। মম পুত্রগণ গুণ কেহ নাহি বলে। পাণ্ডবের যশ প্রচারিত ভূমণ্ডলে।। এই সব ভাবনা করয়ে অনুক্ষণ। শয়নে নাহিক নিদ্রা, না রুচে ভোজন।। কুরুবংশে বৃদ্ধ মন্ত্রী জাতিতে ব্রাম্ভণ। কণিকেরে ডাকি আনিলেন ততক্ষণ।। একান্তে কণিকে আনি বলিল তাহাকে। পরম বিশ্বাস তেঁই ডাকাই তোমারে।। দিবানিশি আমার হৃদয়ে নাহি সুখ। তোমার মণ্ত্রণাবলে খণ্ডিব সে দুঃখ।। পাণ্ডবের যশকীর্তি বাড়ে দিনে দিনে। চিত্ত স্থির নহে মম ইহার কারণে।। ইহার উপায় তুমি বলহ সত্বর। কণিক শুনিয়া তবে করিল উত্তর।। আমার বচন যদি রাখ নররায়। খণ্ডিবে সকল চিন্তা হইবে বিস্ময়।। ধৃতরাষ্ট্র বলে তুনি যে কর বিচার। মম দৃঢ় বাক্য সেই কর্তব্য আমার।। কণিক বলিল রাজা শুন পুর্ব্বাপর আছে হেন শাস্ত্রের বিহিত।। কার্য্য না থকিলে