পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిరి:R শ্রীরাম-বর্ণিতাং সীতাং প্রণমামি পুনঃ পুনঃ ॥ হাসিয়া নিলেন ধনু কাড়ি ত্ৰিলোচন। ক্রোধে পার্থ শিলাবৃষ্টি করে বরিষণ ॥ বলিলেন ডাকিয়া কিরাত ভগবান । বরাহে তপস্বী তুমি ন মারহ বাণ ॥ আনিলাম দূর হৈতে ডাকিয়া বরাহ । তুমি কেন বরাহেরে মারিবারে চাহ ৭ না শুনিয়া পার্থ তাহা করি অনাদর। বরাহের উপর মারিল তীক্ষ্ণশর ॥ কিরাত যে দিব্য অস্ত্র মারিল শূকরে। দুই অস্ত্ৰে যেন বজ্ৰ পৰ্ব্বত বিদরে । গিরিশৃঙ্গ মুক্তি যেন দেখি ভয়ঙ্কর । মায়া ত্যজি হইল দারুণ কলেবর ॥ পার্থ বলে কে তুমি যুবতীবৃন্দ সঙ্গ । আমারে তিলেক তোর নাহিক ক্রতঙ্গ ॥ বরাহেরে অস্ত্র আমি মারি অাগুয়ান । তুমি কি কারণে তারে প্রহারিলে বাণ ॥ এই দোষে আমি তবে লইব পরাণ । হাসিয়া উত্তর করিলেন ভগবান ॥ কোথা হৈতে কে তুমি আইলে তপাচারী এ.ভূমিতে মৃগয়ার আমি অধিকারী ॥ মারিলাম আমি বাণ পড়িল শূকর । ’তুমি অস্ত্র কেন মার শূকর উপর ॥ অনুচিত কৈলে আর চাহ মারিবারে । যত শক্তি আছে তব মার দেখি মোরে ॥ ক্রোধে ধনঞ্জয় অস্ত্র করেন প্রহর । ডাকিয়া কিরাত বলে আমি আছি মার ॥ পুনঃ পুনঃ ধনঞ্জয় প্রহারয়ে শর। জলদ বরিয়ে যেন পৰ্ব্বত উপর ॥ আশচর্য্য ভাবেন মনে এই সে অর্জন । ইহার বৃত্তান্ত কিছু না জানি কারণ । কিবা যম পুরন্দর কিবা ভূতনাথ । অস্ত্যতে সহিতে পারে এই অস্ত্রাঘাত । .য হৌক সে হোক আমি করিব সংহার। ক্রোধেতে নিলেন বীর বাণ তীক্ষধার ॥ শিবের মস্তকে বাজি ছৈল দুই খণ্ড । পাষাণে বাজিয়া যেন পড়ে ইক্ষুদণ্ড ॥ অস্ত্র ব্যর্থ গেল হাতে অস্ত্র নাহি আর । গাণ্ডাব ধমুক ল’য়ে করেন প্রহর । [ মহাভারত · - পৰ্ব্বত উপরে যেন শিলা চুর্ণ হয়। ক্রোধে প্রহারেণ মুষ্টি বীর ধনঞ্জয় ॥ করিলেন ক্রোধে মুষ্টি প্রহর ধূর্জটি । মুষ্ট্যাঘাতে শব্দ যেন হইল চটপটি ॥ ভুজে ভুজে উরুতে ও চরণে চরণে । মল্লযুদ্ধ ক্ষণেক হইল দুইজনে ॥ দুই অঙ্গ ঘর্ষণেতে অগ্নি বাহিরায় । অতি ক্রোধে ধুর্জটি প্রহারিল তায় ॥ মৃতবৎ হ’য়ে পার্থ পড়েন ভুতলে । ক্ষণেক চেতন পেয়ে থাক থাক বলে ॥ যাবৎ না পূজি মম ইষ্ট ত্রিলোচন । এত বলি শিবলিঙ্গ করিয়া রচন ॥ পূজিয় মৃত্তিক। লিঙ্গ দেন পুষ্পমালা । সেই মাল বিভূষিত কিরাতের গলা । বিনয়ে করেন পার্থ করি প্রণিপাত্ত । করিলাম ছদ্ধৃতি যে ক্ষম ভূতনাথ ॥ শিব বলে যে কৰ্ম্ম করিলে ধনঞ্জয় । দেবাস্তরে মানুষে কাহার’ শক্তি নয় ॥ আমার সহিত সম করিলে সমর । তুমি আমি সম শক্তি নাছিক অন্তর } দিব্যচক্ষু দিব লহ দৃষ্ট হবে সব । এত বলি দিব্যচক্ষ দেন দেবদেব ॥ দিব্যচক্ষু পাইয়া দেখেন ধনঞ্জয় । উমার সহিত উমাকান্ত দয়াময় ॥ অর্জন করেন স্তুতি যুড়ি দুই কর । জয় প্রভু জয় শিব জয় মহেশ্বর ॥ ত্রিনেত্র ত্রি গুণময় ত্রিলোকের নাথ । ত্রিবিক্রমপ্রিয় হর ত্রিপুরনিপাত । হেলায় করিলা প্রভু দক্ষযজ্ঞ নাশ ইঙ্গিতে বিজয় কৈল মৃত্যু কালপাশ । নমো বিষ্ণুরূপ তুমি বিধাতার ধাতা । ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ চতুৰ্ব্বগদতি ॥ অজ্ঞানে করিনু প্ৰভু অবিহিত কাজ । চরণে শরণ লই ক্ষম দেবরাজ ॥