পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনপৰ্ব্ব । ] গোবিদের ধ্যান—ওঁ ফুল্লেন্দী বরকাস্তিমিন্দুবদনং বহুবিত সক্রিয় , ৪৪৩ সবে মিলি স্বযুক্তি করহ এইবার । কোনমতে দুঃখের সাগর হৈব পার ॥ এত শুনি কহিতে লাগিল চারিজনে । নুযুক্তি ইহার সবে করি মনে মনে ॥ দাষ গুণ এর সর্ব করিব নির্ণয় । অকারণে আপনি চিন্তহু মহাশয় ॥ কি কারণে আমরা চিন্তিব সৰ্ব্বজন । অবশ্য হইবে যাহা বিধির লিখন ॥ এই সব চিন্তা করি ধৰ্ম্ম অধিকারী । নির্ণয় করিতে আর গেল তিন চারি ॥ মুনি বলে শুন পরীক্ষিতের নন্দন । এষ্টরূপে দ্বাদশ বৎসর গেল বন ॥ মান (ক্লশে ভ্রমণ করিল বহু বন । সংক্ষেপে কহিনু আমি বনের ভ্রমণ ॥ অশ্বমেধ ফল পায় যে শুনে এই কথা । বাসের বচন কথা না হবে অন্যথা ॥ স্থবৰ্ণ ভূঙ্গার আর ধেনু শত শত । স্থপণ্ডিতে দ্বিজে দান দেয় অবিরত ॥ . নিত্য নিত্য শুনে মহাভারতের কথা । নিশ্চয় জানিও সত্য হয় ফলদাত ॥ যেবা কহে যেবা শুনে করে অধ্যয়ন। তুল্য ফল হয় তার সেই সাধু জন ॥ । স্ববৃষ্টি করুক মেঘ সৰ্ব্ব দেশে দেশে। পরিপূর্ণ হ’ক পৃথ্বী শস্ত সমাবেশে ॥ অজয় হউক লোক ব্ৰহ্মকটময় । ভক্তজনে কৃতাৰ্থ করুক ধৰ্ম্মময় ॥ ধন্য হৈল কায়স্থকুলেতে কাশীদাস । তিন পৰ্ব্ব ভারত যে করিল প্রকাশ ॥ পাঁচালী প্রবন্ধে কহে কাশীরাম দাস । অবহেলে কৃষ্ণপদে মম অভিলাষ ॥ সম্পূর্ণ হইল, হরি বল সৰ্ব্বজন । এতদূরে বনপৰ্ব্ব হৈল সমাপন ॥ বনপৰ্ব্ব সমাপ্ত ।