পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یح------- ૨૭૦ সাবিত্ৰী বামপাশ্বস্থা দক্ষিণস্থা সরস্বতী । [ মহাভারত । কহে সে বিনয় করি, চল তথা তুমি হরি, গোবিন্দ বলেন তুমি সৰ্ব্ব গুণবান । তোমা লাগি চিন্তিত রাঙ্গন ॥ পৃথিবীর মধ্যে রাজ কে তব সমান ॥ তোমার দর্শন বিনে, কুন্তী-পুত্ৰ দুঃখী মনে, যোগ্য হও রাজা তুমি যজ্ঞ করিবারে । রহিয়াছে বিরস বদল । এক নিবেদন আমি করিব তোমারে ॥ এ কথা কহিবা মাত্র,গোবিন্দ তোলেন গাত্র, আমি যাহা কহি তাহা জঁান ভালমতে । - যাইবারে করেন মনন ॥ একলক্ষ রাজা চাহি এ মহাযজ্ঞেতে ॥ বৈনতেয় আরোহণে, ঘান ইন্দ্রসেন সনে, মগধ ঈশ্বর জরাসন্ধ শ্রেষ্ঠ রাজা । ধৰ্ম্ম পূত্রে দিতে দরশন ! পৃথিবীর যত রাজা করে তার পূজা ॥ দিনকর নায় অস্তে, উপনীত ইন্দ্রপ্রস্থে, তাহারে না মানে হেন নাহি ক্ষিতিমাবে হইলেন দেব লারায়ণ ॥ বলেতে বান্ধিয়া আনে যে জন না ভজে । কৃষ্ণ আইলেন পূরে শুনি হর্ষ নৃপবরে, তাহার সহায় বহু দুষ্ট রাজগণ । অtণ্ডবাড়ি লইতে তখন । শিশুপাল দন্তবক্র নৃপতি যবন ॥ ভ্ৰাতৃ মন্ত্রী পাঠাইল, অগ্র হৈয়। কৃষ্ণে নিল, এমত অনেক যত দুষ্ট নরপতি । মহা সুখে ভাসে সৰ্ব্বজন । সদাকাল প্রায় থাকে তাহার সংহতি ॥ ধৰ্ম্ম নমস্কার করি, সম্ভামেণ তবে হরি, ইক্ষাকু তাহার বংশে যত রাজগণ । মিষ্ট ভাষে তুষি ভগবান । জরাসন্ধে না ভজিল যত যত জন ॥ ধৰ্ম্ম নরপতি তবে, কৃষ্ণে পূজে ভক্তিভাবে, তার ভয়ে নিজ দেশে রহিতে নারিয়া । বসিবারে দিল সিংহাসন ॥ উত্তর দেশেতে সবে গেল পলাইয় ॥ বসিলেন সবে তথা, চন্দ্রের মণ্ডলী যথা, জরাসন্ধ দুই কন্যা অস্তি প্রাপ্তি বলি । রূপের তুলনা নাহি হয় । কংসের বনিত দোহে আমার মাতুলি । শ্ৰীহরি চরণদ্বয়, যে ভাবে সদা হৃদয়, স্বামীর কারণে বাপে গোহারি করিল ! ভব মাঝে দুঃখ নাহি রয় ॥ সসৈন্যে মগধপতি মথুরা বেড়িল ৷ ——- অসংখ্য তাহার সৈন্য কে বণিতে পারে ; গোবিন্দ-সধিষ্টির ক , i ক্ষয় নহে মারিলেক শতেক বৎসরে ॥ বলেন গোবিন্দ প্রতি ধর্মের কুমার । রাম আমি দুই ভাই করিনু সংহার । নারদেরে কছিলেন জনক আমার ॥ সেই হেতু যুদ্ধ হইল অষ্টাদশবার ॥ রাজসূয় মহাযজ্ঞ ছল্লভ সংসারে । তবে চিত্তে বিচার করিনু সৰ্ব্বজন । যুধিষ্ঠিরে রাজসূয় কহু করিবারে ॥ মথুরা বসতি আর নহে স্থশোভন ॥ এই হেতু যজ্ঞ বাঞ্ছা হইল আমার । নিরন্তর দুই কন্যা কহিবেক বাপে । শুন এই কথা কৃষ্ণ কহি সারোদ্ধার ॥ পুনঃ জরাদন্ধ রাজা আসিবেক কোপে ॥ পরস্পর আমারে স্বহীদ বলে সবে । এমত বিচারি সবে মথুরা ত্যজিয়া ! কেহ প্রীতে কেহ হিতে কেহ ধনলোভে ॥ সবে ল’য়ে দ্বারকায় রহিলাম গিয়া । যে যত বলেন নাহি লয় মম মনে । সেই যুদ্ধে না আইল যত রাজগণে । যতক্ষণ নাহি শুনি তোমার বদনে ॥ বুঝিয়া সন্দেহ প্ৰভু ভাঙ্গহ আমার । করিব কি না করিব যে আজ্ঞা তোমার ॥ বন্দী করি রাখিয়াছে আপন ভবনে ॥ পশুবৎ করি সব রাখিয়াছে রাজা । সবাকারে বলি দিবে রুদ্রে করি পূজা ৷