পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀG Հ আদি অন্ত নাহি লোক চতুৰ্দ্দিকে বেড়ি । উচ্চ নীচ জল স্থল আছে লোক যুড়ি ॥ কোথায় দেখয়ে একপদ নরগণ । দীর্ঘ কর্ণ কোথা দেখে বিকর্ণ বদন ॥ কোথায় অমরগণ নানা ক্রীড়া করে । রাক্ষস দানব দৈত্য অনেক বিহরে ॥ সিদ্ধ সাধ্য ঋষি যোগী অনেক ব্রাহ্মণ । বিবিধ বাহনে কোথা যমদূতগণ ॥ কোটি কোটি অশ্ব হস্তী কোটি কোটি রথ । স্থানে স্থানে নৃত্য গীত হয় অবিরত ॥ অপূৰ্ব্ব দেখিয়া সবে ভাবে মনে মন । এ হেন অদ্ভুত চক্ষে না দেখি কখন ॥ যে দেব দানবে বৈরী আছয়ে সদায় । হেন দেব দানবেতে একত্র খেলায় ॥ যে ফণী গরুড়ে কভু নাহি হয় দেখা একত্র খেলায় যেন ছিল পূৰ্ব্ব সখা ॥ রাক্ষস মানুষে করে পাইলে ভক্ষণ । মনুষ্যের আজ্ঞ বহে নিশাচরগণ ॥ অদ্ভুত মানিয়া রাজা মুখে দিল হাত । জানিল এ সব মায়া করেন শ্ৰীনাথ ॥ দুই ভিতে দেখে রাজা অনিমেষ আণথি । তিন ভুবনের লোক এক প্ৰাই দেখি ॥ কে কারে আনিয়া দেয় নাহিক নিববন্ধ । অীসন ভোজন পানে সবার আনন্দ ॥ পরিবার লোক তার রাখিয়া সে রথ । ঠেলাঠেলি পদব্রজে গেল কত পথ ॥ অগ্র তার গম্য নহে যাইতে কাহারে । থাকুক অন্যের কাজ পিপীলিকা নারে ॥ কতদূর আছে দ্বার নাহি চলে দৃষ্টি । রাজগণ দাণ্ডাইয়া আছে পৃষ্ঠাপৃষ্ঠ ॥ দুই ভিতে দ্বারীগণ মারিতেছে বাড়ি । একদৃষ্টে আছে সবে দুই কর যুড়ি ॥ পথ না পাইয়া দাণ্ডাইল বিভীষণ । অন্তৰ্য্যামী সব জানিলেন নারায়ণ if কে আইল কে খাইল কেবা নাহি পায় । প্রতিজনে জিজ্ঞাসা করেন যদুরায় ॥ জরৎকারুমুনেঃ পত্নী মসন দেবি নমোহস্ততে। [ মহাভারত। দূরে থাকি দেখিল রাক্ষস অধিপতি T দিব্যচক্ষে জানিলেন এই লক্ষীপতি ॥ অষ্টাঙ্গ লোটায়ে স্তুতি করে কর যুড়ে। বারিধারা নয়নেতে অবিশ্রান্ত পড়ে ॥ দেখিয়া নিকটে তার গিয়া নারায়ণ । তুই হাতে ধরিয়া দিলেন আলিঙ্গন ॥ স্তুতি করে বিভীষণ যুড়ি দুই কর । আনন্দে চক্ষুর জল ঝরে নিরন্তর ॥ নানা রত্ব ছিনিয়া ফেলেন ভূমিতলে । পুনঃ পুনঃ ধরি পড়ে চরণ-কমলে ॥ যতেক আনিল রাজ বিবিধ রতন । গোবিন্দের অগ্রে ল’য়ে দিল ততক্ষণ ॥ করযোড় করি বলে রাক্ষসের রাজ । আজ্ঞা কর জগন্নাথ করিব কি কাজ ॥ গোবিন্দ বলেন আসিয়াছ কোন কাজে । মম সঙ্গে চলহ ভেটাই ধৰ্ম্মরাজে ॥ বিভীষণ বলে কৰ্ম্ম সম্পূর্ণ হইল । uতামার পদারবিন্দ নয়ন দেখিল ॥ তোমার পদারবিন্দে দৃঢ় আলিঙ্গন । পিতামহ বাঞ্ছিত যে অন্য কোনজন ॥ লক্ষীর তুল্লভি মোরে করিলা প্রসাদ । চিরকাল বি চছদের খণ্ডিল বিষাদ ॥ সম্পূর্ণ মানস মম সিদ্ধ হৈল কাজ । এখন কি করিব আজ্ঞা কর দেবরাজ । গোবিন্দ বলেন যে করিল আবাহন । যার দূত সঙ্গে পূর্বে পাঠাইলে ধন ৷ যার নিমন্ত্রণে তুমি আইলা হেথায় । চলহ ভেটাই সেই ঠাকুরে তোমায় ॥ বিভীষণ কহিল বলিল দূতগণ । পাণ্ডবের যজ্ঞে অধিষ্ঠান নারায়ণ ॥ তব দ্রোহী হইবে না দিলে তারে কর । অন্য কি তোমার নামে দিব কলেবর li জগতের ঠাকুর তোমায় আমি জানি । তোমার ঠাকুর আছে আমি নাহি মানি যে হউক মোর প্রভু তোমা বিনা নাই । প্রয়োজন নাহি মম অন্যজন ঠাই ৷