পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ মঙ্গল-চণ্ডীর ধ্যান—ঘৈষা ললিতকান্তাখ্যা দেবী মঙ্গলচণ্ডিকা । [ মহাভারত। মেরু তুল্য আমার আছে যে বহুধন । চারি সমুদ্রের মধ্যে যতেক রতন ॥ দুৰ্য্যোধন বলে মম মাতুল খেলিবে । সব রত্ন দিব আমি যতেক হারিবে ॥ এইরূপে দুইজনে পাশা আরম্ভিল । দেখিবারে সর্ববজন সভাতে বসিল ॥ ধৃতরাষ্ট্র ভীষ্ম দ্রোণ কৃপ মহামতি । চিত্তে অসন্তোষ অতি বিছর প্রভূতি ॥ ধৰ্ম্ম বলিলেন পণ হইল আমার । ইন্দ্রপ্রস্থে যত মম রত্নের ভাণ্ডার ॥ ঈদৃশ তোমার ধন কোথা দুৰ্য্যোধন ॥ হাসি বলে কোথা হৈতে দিব৷ এই পণ ॥ দুৰ্য্যোধন বলে আছে আমার অনেক । প্রবোধ করিব আমি জিনিবে যতেক ॥ নির্ণয় করিয়া সারি ফেলিল শকুনি । কটাক্ষে সকল রত্ন লইলেক জিনি ॥ ক্রোধে যুধিষ্ঠির পুনঃ করিলেন পণ । কোটি কোটি যতেক আছয়ে অশ্বগণ ॥ শকুনি হাসিয়া ফেলি জিনিলাম কয়। কি পণ করিব। আর কহ মহাশয় ॥ যুধিষ্ঠির বলে মম রথ অগণন । , নানা রত্বে বিভুষিত মেঘের গর্জন ॥ • শকুনি হাসিয়া বলে ডাকি ততক্ষণ । হের দেখ জিনিলাম কর অন্য পণ ॥ ধৰ্ম্ম বলিলেন হস্তীবৃন্দ যে আমার । ইষদন্ত মহাকায় বলে অনিবার ॥ সর্বব হস্তী করি পণ পুনঃ ফেল পাশ । জিনিলাম শকুনি বলিয়া কহে ভাষা-॥ যুধিষ্ঠির বলেন যে আছে দাসীগণ । সহস্ৰ সহস্ৰ ৱান রত্বে বিভূষণ ॥ সবার সৌজন্য বড় ব্রাহ্মণ সেবাতে । করিলাম তাহ পণ এবীর পাশাতে ॥ শকুনি ফেলিল পাশা বলয়ে হাসিয়া । অন্য পণ কর হের নিলাম জিনিয়া ॥ ধৰ্ম্ম বলে এমাছয়ে গন্ধৰ্ব্ব অশ্বগণ । তিলেক না হয় শ্রম ভ্ৰমিতে ভুবন ॥ " চিত্ররথ গন্ধৰ্ব্ব তক্ষুরু আনি দিল । এবার দূতেতে সেই অশ্বপণ হৈল ॥ হাসিয়া বলয়ে তবে স্বল-কুমার । অশ্বগণ জিনিলাম কর পণ আর ॥ যুধিষ্ঠির বলেন যে আছে যোদ্ধাগণ । মহারথী মধ্যে করি সে সব গণন ॥ এবার যুদ্ধেতে আমি করিলাম পণ । হাসিয়া জিনিলু বলে গান্ধার নন্দন ॥ এইমতে প্ৰবৰ্ত্তিল কপট দেবন। একে একে হারিলেন ধৰ্ম্ম সৰ্ব্ব ধন ॥ দেখিয়া ব্যাকুল হৈল বিছরের মন । ধৃতরাষ্ট্রে ডাকিয়া বলিছে ততক্ষণ ॥ আমি যত বলি, তব মনে নাহি লয় । মৃত্যুকালে রোগী যেন ঔষধ না খায় ॥ ওহে অন্ধরায় তুমি হইল কি স্তব্ধ । জন্মকালে এই পুত্ৰ কৈল খর শব্দ ॥ তখনি বলিনু আমি সকল বিস্তার । কুরুকুল ক্ষয় হেতু হইল কুমার ॥ না শুনিয়া মম বাক্য করিয়া হেলন । সেই সব রাজ ব্যক্ত হইল এখন ॥ ংহার রূপেতে এই আছে তব ঘরে । স্নেহেতে ভুলিলা, নাহি পাও দেখিবারে ॥ দেব গুরু নীতি রাজা কহি তোমারে । মধু হেতু মধুলোভী উঠে বৃক্ষেপরে ॥ নাহিক পতন ভয় মধুর কারণ । সেইরূপ মত্ত হইয়াছে দুৰ্য্যোধন ॥ মহারথিগণ সহ করয়ে বৈরিতা । পশ্চাতে জানিবে এবে নাহি শুন কথা ॥ এইরূপ কংস ভোজ হইল উৎপত্তি । সপ্তবংশ পিতার নাশিল দুষ্টমতি ॥ উগ্ৰসেন আদি সবে করি এ প্রকার । গোবিন্দের হাতে তবে হইল সংহার ॥ সপ্তবংশ স্বথে বৈসে গোবিন্দ সংহতি। মম বাক্য মান রাজা বড় পাবে প্রীতি ॥ শীঘ্ৰগতি পার্থে আজ্ঞা করহ রাজন। দুৰ্য্যোধনে রাখ নিয়া করিয়া বন্ধন ॥