পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 b নাগেন্দ্রৈ কৃতশেখরং জপাটাং শূলং কপলিং করৈঃ [ মহাভারত । অহঙ্কার করি দুষ্ট গন্ধৰ্ব্ব না মানে । Iন্ধৰ্ব্বে মারিবে কোথা মনুষ্য-পরাণে ॥ এত শুনি ধাইলেক যতেক রক্ষক । মাংসপিণ্ড প্রায় তথা দেখিল কীচক ॥ মপুৰ্ব্ব দেখিয়া লোক মানিল বিস্ময় । কেহ বলে কীচক এ, কেহ বলে নয় ॥ কোথা গেল হস্ত পদ কোথা গেল শির । কুষ্মাণ্ডের প্রায় দেখি কাহার শরীর ॥ কেহ বলে গন্ধৰ্ব্ব মীরয়ে এইমত । বার্তা পেয়ে ধাইল লোদর উনশত n · কীচকে বেড়িয়া সবে করয়ে ক্রন্দঙ্গ । ভ্ৰাতৃ মিত্র বন্ধু যত স্ত্রী পুরুষগণ ॥ এইমতে বন্ধুগণ কান্দিয়া অপার । অগ্নিতে সৎকার হেতু করিল বিচার ॥ হেনকালে দ্রৌপদীরে দেখি সেইখানে । দপ করি দাণ্ডাইল সব বিদ্যমানে ॥ ক্রোধে সূতপুত্ৰগণ বলয়ে বচন । এই দুষ্ট হৈতে হৈল কীচক-নিধন ॥ কেহ বলে ন৷ চাহিও এ দৃষ্টার পানে । কেহ বলে অসতীরে মারহ পরাণে ॥ অগ্নিতে পোড়া ও এরে কাচক সংহতি । পরলোকে কীচকের হইবেক প্রীতি ॥ বান্ধিয়া ইহারে শীঘ্ৰ মৃত সহ লহ । একবার নৃপতিরে গিয়া জিজ্ঞাসহ ॥ • বিরাট নৃপতি শুনি কীচক নিধন । ক্রোধে নরপতি আজ্ঞা দিল সেইক্ষণ ॥ হাহা বীর কীচক সৈন্যের সেনাপতি । তোমার বিহনে মম হয় কোন গতি ॥ " সৈরিন্ধ্রী দুষ্টার হেতু কীচক-নিধন । ক্রোধে নরপতি আজ্ঞা দিল সেইক্ষণ ॥ তার মুখ আর না দেপিব কদাচন । শীঘ্ৰ করি লহু তারে করিয়া বন্ধন ॥ পোড়াও কীচক সহ জ্বালিয়৷ অনল । তবে সে আমার অঙ্গ হইবে শীতল ॥ আজ্ঞা পেয়ে কৃষ্ণারে বান্ধিল সেইক্ষণ । শব সহ লইলেক করিয়া বন্ধন । তবেত দ্রৌপদী দেবী না দেখি উপায়। আকুল হইয়া অতি কান্দে উভরায় ॥ ওহে জয় বিজয় জয়ন্ত জয়ৎসেন । জয়দ্বল নাম লৈয়া উচ্চেতে ডাকেন ॥ দুন্দুভির শব্দ র্যার ধনুক টঙ্কার । তিনলোকে অসাধ্য নাছিক শক্র র্যার । তার প্রিয় বড় আমি করিল বন্ধন । শীঘ্ৰগতি আসি মোরে করহ মোচন ॥ এইমত পুনঃ পুনঃ ডাকে যাজ্ঞসেনী । রন্ধন-গৃহেতে থাকি ভীমসেন শুনি ॥ ক্ৰন্দনের শব্দ শুনি উঠিয়া বসিল । দ্রৌপদীর রব বুঝি হৃদয় কঁাপিল ॥ কেশ বেশ মুক্ত বীর বায়ুবেগে ধায় । পথাপথ নাহি জ্ঞান শব্দ শুনি যায় ॥ একলাফে ডিঙ্গাইল গড়ের প্রাচীর । আশ্বাসিয়া দ্ৰৌপদীরে কহে মহাবীর ॥ না কান্দ সৈরিন্ধী দেবি আইল গন্ধৰ্ব্ব । এখনি মারিবে দুষ্ট সূতপুত্ৰ সৰ্ব্ব ॥ এত বলি উপাড়িল দীর্ঘ তরুবর । দণ্ডহস্তে যম যেন ইন্দ্র বজ্র কর ॥ সবে বলে হের ভাই গন্ধৰ্ব্ব আইল । পলাও পলাও বলি সবে রড় দিল । নগরের মুখ ধরি ধায় বায়ুবেগে । পাছে ধায় বৃকোদর সিংহ যেন মৃগে ॥ আরে আরে দুরাচার সূতপুত্ৰগণ । মনুষ্য হইয় কর গন্ধৰ্ব্বে চালন । এত বলি প্রহার করিল তরুবর । এক ঘায়ে মারে উনশত সহোদর ॥ অশ্রুপূর্ণমুখী কৃষ্ণ আছিল বন্ধনে । মুক্ত করি বৃকোদর দিল সেইক্ষণে ॥ ! ভীম বলে দুঃখ না ভাবিও গুণবতি । তোমারে হিংসিয়া দুষ্ট ছৈল হেন গতি ॥ | আজ্ঞা কর যাই আমি কেহ পাছে জানে । করহ গমন তুমি আপনার স্থানে ॥ এত বলি চলি গেল ৰীর বৃকোদর। অন্তঃপুরে গেল কৃষ্ণ স্বদেঞ্চার ঘর ।