পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 8Ե-8 হস্তাজাভ্যাং বঢুকমানশং শূলদণ্ডে দধানং । [बहfउiब्रड পার্থের বচন শুনি উত্তর নামিল । যুদ্ধেতে নিবৃত্ত আমি বিনয় যে জন । ভাল ভাল বস্ত্র বীর বাছিয়া লইল ॥ তাহার নাহিক ভয় আমার সদন ॥ দুৰ্য্যোধন কর্ণ দুঃশাসন আদি করি । মুকুট করিয়া দুরে কেশ মুক্ত করি ॥ রথিগণে বসাইল গজের উপরে । রথের উপরে বসাইল আসোয়ারে ॥ এইমত উত্তর করিয়া বহুজন । পুনরুপি উঠে রথে লইয়া বসন ॥ পার্থের অদ্ভুত কৰ্ম্ম দেখি দেবগণ । হগন্ধি কুহমবৃষ্টি করে সেইক্ষণ ॥ অপূৰ্ব্ব হইল শোভা ধরণীমণ্ডলে । কানন বিচিত্র যে বসন্তের কালে ॥ পড়িল অনেক সৈন্য লিখন না যায় । জীয়ন্তে আছিল যেই সেই মৃতপ্রায় ॥ ভয়ঙ্কর হৈল ভূমি দেখি লাগে ভয় । রক্তমাংসাহারী ধায় আনন্দ হৃদয় ॥ শৃগাল কুক্করগণ করে কোলাহল । গৃধিনী শকুনি কাক ছাইল সকল । নাচয়ে কবন্ধগণ ধনুঃশর হাতে । ভূত প্রেত যোগিনী পিশাচগণ সাথে ॥ মহাভারতের কথা অমৃত-সমান । কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ হুর্য্যোধনেব মুকুটচ্ছেদন ও কুরসৈঙ্গের নানা দুরবস্থা সৈন্য হতে বাহির ছৈলেন পার্থবীর । মেঘ হ’তে মুক্ত যেন হইল মিহির । চতুর্দিকে ভঙ্গিয়ান যত সৈন্যগণ । ভয়েতে কম্পিত সবে শ্বাস ঘনে ঘন ॥ কেশ বাস মুক্ত সবে কম্পিত হৃদয় । পার্থে দেখি কৃতাঞ্জলি করে সবিনয় ॥ আজ্ঞা কর কি করিব কুন্তীর কুমার । পিতৃ-পিতামোহ সবে সেবক তোমার ॥ সেবক জনেরে বধ না হয় বিচার । রক্ষা কর লইলাম শরণ তোমার ॥ অর্জন কহেন তোর না করিস ভয় । যাও নিজ স্থানে সবে নিঃশঙ্ক-হৃদয় ॥ তবে কত দূরে থাকি দেখেন অৰ্জ্জুন । চৈতন্য পাইল কতক্ষণে কুরুগণ ॥ একজন মুখ আর জন নাহি চায়। লজ্জায় যতেক বীর হৈল মৃতপ্রায় ॥ কণর শিরে নাহি পাগ কার নাহি বাস । লাজে মুখ তুলি কেহ নাহি কহে ভাষ। দুরে থাকি অৰ্জ্জুন মারেন দশবাণ। গুরু বৃদ্ধ পদব্রজে করিতে প্রণাম ॥ অৰ্দ্ধচন্দ্র বাণ তবে মারেন কিরাট । দুৰ্য্যোধন রাজার মুকুট পাড়ে কাটি ॥ ভয়েতে আচ্ছন্ন রাজা চারিদিকে চায়। সবাকার মধ্যে গিয়া আপনি লুকায় ॥ দ্রোণাচার্য্য কহেন না কর আর ভয় । বড় ক্ষমাশীল হয় কুন্তীর তনয় ॥ বিশেষ নৃপতি ধৰ্ম্ম দয়া তোরে করে । তার আজ্ঞ বিনা পার্থ মারিতে না পারে বৃকোদর থাকিলে যাইত সব প্রাণ। চল চল এথা হৈতে বিলম্ব না সয়। মনে লয় বৃকোদর আসিবে ত্বরায় ॥ হেনকালে বলিতেছে শকুনি সারথি । | i | | সে কারণে ক্ষমিলেক করি অনুমান । | | | রথেতে মাতুল তব নাহি নরপতি ॥ শুনি কহে দুৰ্য্যোধন বিষণ্ণবদন । রথেতে মাতুল নাহি দেখি কি কারণ। কেহ বলে তারে ক্রোধ অনেক আছিল । বান্ধিয়া অৰ্জ্জুন বুঝি সঙ্গে ল’য়ে গেল । কেহ বলে যুদ্ধে কিবা পড়িল শকুনি । কেহ বলে আগু পলাইল হেন জানি ॥ রাজ বলে খুজহ মাতুল কোথা গেল । আজ্ঞামাত্র চতুদিকে সবাই ধাইল ॥ অনেক ভ্ৰমিয়া বুলে সবে চতুৰ্ভিত । রজকের ঘরে দেখে শকুনি ব্যথিত । গর্দভের পৃষ্ঠে বান্ধিয়াছে হাতে-পায় । ডাক দিয়া কহে মোর প্রাণ ৰাছিরায় ।