পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্যোগপৰ্ব্ব । ] কতভ সময়ে কৰ্ম্ম ফল নাহি ধরে। বেদের নিয়ম হেন শাস্ত্রের বিচারে ॥ এক্ষণে অশুভকাল হইল আমার । সে কারণে এত দুঃখ হয় অনিবার ॥ আয়াকে এতেক ক্লেশ দাও কি কারণ। তপ ত্যাগ করি মাতা স্থির কর মন ॥ মাতৃহীন পুত্রদের নাহি মুখলেশ । সৰ্ব্বদা দুঃখিত সেই পায় নানা ক্লেশ ॥ ধৰ্ম্মহীন জন যেন ব্যর্থ উপার্জন । ভক্তিহীন জ্ঞানিজন যেন অকারণ ॥ শ্রদ্ধাহীন শ্রাদ্ধ যেন বীজহীন মন্ত্র । শাস্ত্রহীন গুরু যেন বীজহীন তন্ত্র ॥ স কারণে নিবেদন শুনহ জননি । আপনার আত্মা রক্ষণ করহ আপনি ॥ তোমার প্রসাদে মাত শুভকাল হলে । সন্ট দৈত্যগণেরে জিনিব অবহেলে ॥ এতেক বলিল যদি দেব স্বরপতি । ধ্যানভঙ্গ হইয়া চাহেন ক্রোধমতি ॥ নয়ন শ্রবণ হৈতে অগ্নি বাহিরায় ॥ ভয় পেয়ে দেবগণ পলাইয়া যায় ॥ করিলেন ব্রহ্মার সাক্ষাতে নিবেদন । শুনি ব্ৰহ্মা চলিলেন সহ দেবগণ ॥ ক্ষরোদের কুলে গিয়া করিল স্তবন। তুষ্ট হয়ে সম্প্রদর্শন দিল। নারায়ণ ॥ নবজলধর জিনি অঙ্গের বরণ । পীতবাস পরিধান রাঞ্জাবলোচন ॥ আজানুলম্বিত বনমালা বিভূষিত । নূপুর কঙ্কণ হার মুক্ত বিরাজিত ॥ দিব্যমূৰ্ত্তি সাক্ষাতে দেখিয়া নারায়ণে ॥ প্ৰণিপাত স্তুতি করিলেন দেবগণে ॥ প্ৰতিবশে প্রসন্ন হুইয়। জগৎপতি । কহিলেন দেবগণ সাক্ষাতে ভারতী ॥ শত্র হবে তোমাদের দুঃখ বিমোচন । বন্ধীনে প্রস্থান কর যত দেবগণ ॥ এত বলি অন্তৰ্হিত হন নারায়ণ । যথাস্থানে গেল ইন্দ্র আদি দেবগণ । করপঙ্কজাভ্যাং ধৃতং লগুড়ং পরশুং সপাশং । ( o অদিতির তপেতে তাপিত ত্রিভুবন । তুষ্ট হ’য়ে প্রত্যক্ষ দিলেন দরশন ॥ সজল জলদ যেন অঙ্গ স্থশোভন । কোটি শশীমুখ কুল্ল রাজীবলোচন ॥ কোকনদ কর পদ অধর অতুল । থগরাজ জিনিয়া নাসিক। তিল ফুল ॥ কাঞ্চন বরণ জিনি অম্বর শোভন । আজানুলম্বিত বনমালা বিভূষণ ॥ শ্রবণে কুণ্ডল দোলে অতি শোভা করে । দেখিয়া মানিল দেবী ৰিন্ময় অন্তরে ॥ সাক্ষণতে দেখিয়া সেই কমললোচন । দণ্ডবং প্রণাম করিল সেইক্ষণ ॥ করযোড়ে স্তুতিপাঠ করিল বিস্তর । জয় জয় নারায়ণ জয় দামোদর ॥ শিষ্টের পালক নমো দুষ্ট বিনাশন । নমো হয়গ্ৰীব মধুকৈটভমর্দন ॥ নমঃ আদি অবতার মৎস্য-কলেবর । নমো কূৰ্ম্ম অবতার নমস্তে ভূধর ॥ নমস্তে বরাহরূপ-মোহিনী আকৃতি । অবতার শিরোমণি নমো জগৎপতি ॥ তুমি ইন্দ্র তুমি চন্দ্ৰ তুমি বৈশ্বানর। আকাশ পাতাল তুমি দেব গদাধর । অন্তরীক্ষ নাভি তব পাতাল চরণ । পৃথিবী তোমার কটি অস্থি গিরিগণ ॥ তোমার বিভূতি এই সকল সংসার । আত্মারাপে সৰ্ব্বস্থানে করিছ বিহার ॥ পুরুষপ্রধান তুমি আদি সনাতন । বিষম সঙ্কটে দেব করই তাঁরণ ॥ এইরূপে স্তুতি করে দেবের জননী । প্রসন্ন হইয়া কহিলেন চক্রপাণি ॥ তোমার স্তবেতে তুষ্ট হইলাম আমি । মনোনীত বর দিব মাগি লহ তুমি ॥ যদি বা অসাধ্য হয় ভুবন ভিতরে । অঙ্গীকার করিলাম দিব তা তোমারে ॥ ভক্ত যাহা বাঞ্ছা করে মম সমিধান । সেই বর করি তারে অবশ্য প্রদান ॥