পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-দোনলব্ধTT_ অস্থিমালাধরাং দেবং নাগযজ্ঞেশ্বৰীতিনীম্। ৬১৩ নলবন দলে যেন মদমত্ত হাতী ৷ . পিতে নিমিষে লক্ষ লক্ষ সেনাপতি ॥ দুনাতি দেখিয়া তবে দুৰ্য্যোধন ভূপ । চড়িল জীবন আশ শুকাইল মুখ ॥ অধোমুখ বীরগণ বুক নাছি বন্ধে । নৃপতির চরণযুগল ধরি কান্দে ॥ কেশরী সমান শিশু মৃগ যেন পেয়ে । সংহারে সকল সৈন্য দেখ কিবা চেয়ে ॥ আকুল হইয়া রাজা রর্থী সপ্ত জনে । কহিতে লাগিল অতি বিনয় বচনে ॥ দুখ গুরু মহাশয় কর্ণ প্রাণসখী ॥ বনাশিল সৰ্ব্বসৈন্য অভিমনু্য একা । শুন শুন সপ্তরর্থী আমার বচন । পুনরাপ অভিমনু বেড় সাত জন ॥ দহিসে না হও হীন সতর্ক হইয় । মারে রক্ষা কর এই বলিকে বধিয় ॥ . জয় করি সমরে পুরাও যদি আশ । কনিয়া করিবে তবে মোরে নিজ দাস ॥ রঞ্জার বিনয় শুনি বল করে রথী । পুনরপি যায় রণে সপ্ত সেনাপতি ॥ রথে ব'সে বিক্রমে বাসব তেজ ধরি। মীরাথ চালায় রথ শিশু বরাবরি ॥ ঝলকে বেড়িয়া বাণ বরিষয়ে তারা । বৃষ্টি যেন বরিষয়ে মুষলের ধারা ॥ প্রাণপণে করে রণ প্রাণে ছাড়ি আশ । সাহসে বান্ধিয় বুক করিল ভরসা ॥ নিবারণ করি অস্ত্র অভিমনু্য বীর । বাণে বিন্ধি খণ্ড খণ্ড করিল শরীর ॥ ধারায় রুধির বহে অবিরত গায় । তথাপি তিলেক শ্রম নাহি করে তায় ॥ তবে কণ মহাবীর মানিয়া বিষ্ট্ৰীয় । প্রমাদ দেখিয়া ডাকি ছয় জনে কয় ॥ শসমুন হইতে শিশু মহা পরাক্রম । শবনাদ নাহিক তিলেক নাহি শ্রম ॥ *বধান হইয়া সবাই কর রণ । "ককালে সন্ধান করহ সপ্তজন ॥ কেহ কাট’ ধনুখান কেহ কাট’ গুণ । কেহ কাট’ রথ কেহ কাট অস্ত্র তৃণ ॥ এ উপায় বিন কিছু নাহি দেখি আঁর। কাল-অগ্নি সম শিশু দেখ চমৎকার ॥ তবে সপ্তরথা পুনঃ বেড়িল কুমারে । এককালে সন্ধান করিল সাত বীরে ॥ তবে কর্ণ মহাবীর কোপে কম্পে তনু । অনেক সন্ধানে কাটি ফেলাইল ধনু ॥ আর ধনু নিল বীর চক্ষু পালটিতে । সে ধনু কাটেন কণ গুণ নাহি দিতে ॥ যতবার ধরিয়া ধনুক হাতে লয় । খণ্ড খণ্ড করি কাটে সুৰ্য্যের তনয় ॥ পুনর্ববার আর ধনু ল’য়ে গুণ দিল । দ্রোণের নন্দন তাছা কাটিয়া পাড়িল ॥ কবচ কাটিল দ্রোণ আর কাটে ধনু । দুঃশাসন কাটে রথ সারথির তনু ॥ কৃপাচাৰ্য্য বাণেতে কাটিল শরাসন । দুৰ্য্যোধন কাটে অশ্ব মারি অস্ত্ৰগণ ॥ অস্ত্র ধনু কাটা গেল রথের সারথি । শূন্যহস্ত হৈল যেন মদমত্ত হাতী ॥ খড়গ ল’য়ে চৰ্ম্ম এড়ি রণ করে বীর । তাহাতে কাটিল সৈন্য কেহ নহে স্থির ॥ বড় বড় রঞ্চ-মারে পর্বতের চুড়া । খান খান করে রথ হয়ে যায় গুড়ি ॥ শত শত হস্তী মারে পর্বর্বতের প্রায় । পদাতি পাইক মারে ধরণী লুটায় । যোড়া যোড়া ঘোড়া মারে পক্ষীরাজ নাম । বিষম বালক বড় শমনের সম ॥ তবে কর্ণ আকর্ণ সন্ধানে মারে শর । সেই বাণে চৰ্ম্ম কটি ফেলায় সত্বর ॥ কাটা চৰ্ম্ম আচ্ছাদন নাহি তাহ উড়ে । চতুর্দিক হৈতে বাণ গাৱে আসি পড়ে ॥ শুধু আসি লইয়া সমর করে বীর । আসে পাশে সম্মুখে সৈন্যের কাটে শির ॥ বড় বড় বীর মারে বড় বড় রর্থী । . নিবারণে আসক্ত হইল সেনাপতি ॥