পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નાના কর্ডেক ক্ষমা কহ, ৰ পার্থ ধনুৰ্বর, রথচক্র উদ্ধারিব করে । নেই জন মুক্তকেশ, প্ৰহারে বিকল বেশ, শরণ মাগয়ে যদি রণে । কবচ রহিত জনে, নাছি ধরে অস্ত্ৰগণে, তারে মারে কাপুরুষ জনে ॥ ভূমি লোকে নরোত্তম, তব কীৰ্ত্তি অনুপম, ধৰ্ম্মজ্ঞানে তোমারে বাখানি । রখের উপরে তুমি, অভাগ্যেতে আমি ভূমি, মুহূর্তেক ক্ষমা কর জানি ॥ " কৃষ্ণ হৈতে নাহি ভয়, তোমাতে সংশয় হয়, সে কারণে সাধি হে তোমাকে । বিধি মোরে হৈল বক্র, পৃথিবী গিলিল চক্র, ক্ষমা করি উদ্ধার আমাকে ॥ শুনিয়া কর্ণের বাণী, ক্রোধে কন চক্রপাণি, বিপদ কালেতে স্মর ধৰ্ম্ম । একবস্ত্র রজঃস্বল, দ্রুপদনন্দিনী বাল, সভামধ্যে কৈলা কোন কৰ্ম্ম ॥ শকুনি সোঁবল সনে, কপটে রচিল পাশ সারি । ক্ষত্ৰধৰ্ম্ম ছাড়ি কাৰ্য্য, কপটে লইল রাজ্য, } কোন শাস্ত্রে পাইল বিচারি ॥ সন্দেশ মিশ্রিত বিষে,ভীমে খাওয়ালে শেষে, বান্ধিয়া সকল কলেবর । ফেলাইয়া দিলে জলে, রক্ষা পায় ধৰ্ম্মবলে, সেই কথা কহিতে বিস্তর ॥ জোঁগুহ নিৰ্ম্মাণ করি, তাহাতে পাণ্ডব ভরি, অগ্নি দিলে কি বিচার করি । কোন শাস্ত্রে হেন ধৰ্ম্ম, বিচারিয়া কর কৰ্ম্ম, দৈবে তাহা আনিল উল্কারি ॥ দ্বাদশ বৎসর বনে, বঞ্চিলেন পঞ্চজনে, বৎসরেক রছে অজ্ঞাতেতে । সভাতে মাগিল যবে,রাজ্য নাহি দিলে তবে, হেন ধৰ্ম্ম বুৰাও কিমতে ॥ । অভিমন্ত্য গেল রণে, বেড়ি মারে সপ্তজনে, ছুক্ষপোষ্য শিশুত কুমার। ব্ৰহ্ম বিষ্ণু শিৰোরত্ন নিউচ্চরণযুগ | দুৰ্য্যোধন নরাধমে, Woo কোনধৰ্ম্মে মার তারে, স্বরূপ কহিবা মোরে, কোথা ছিল ধর্মের বিচার ॥ শুনিয়া কৃষ্ণের কথা, অর্জনের বাড়ে ব্যথা, পূর্ব কথা মনে হয়। বাড়িল পার্থের ক্রোধ, না মানেন উপরোধ, রভচক্ষু ওষ্ঠ কম্প হয় ॥ তবে কর্ণ মহাক্রোধে, নিতান্ত মরিব বোধে, ব্ৰহ্ম অস্ত্র এড়ে সেইক্ষণ । অৰ্জুন ব্ৰহ্মাক্স মারি, কর্ণ বাণ ব্যর্থ করি, দিব্যাস্ত্র যুড়িল শরাসন ॥ পার্থ যুড়ি অগ্নিবাণ, যেন অগ্নি দীপ্তিমান, কর্ণ পানে চান একদৃষ্টি । বরুণ বাণেতে কর্ণ, জলে করি পরিপূর্ণ, অনল নিভায় করি বৃষ্টি ॥ অর্জনের বায়ু বাণ, মেঘ করে খান খান, পুনঃ কর্ণ যোড়ে মহাশয় । হাহাকার দেবগণে, ভূমিকম্প ক্ষণে ক্ষণে, বাণ এড়ে কর্ণ ধনুৰ্দ্ধর ॥ হৃদয়ে বিন্ধিল শর, রক্ত পড়ে নিরন্তর, আপন বিস্মৃত ধনঞ্জয় । খসিল হাভের ধনু, স্তব্ধ হৈল সৰ্ব্ব তনু, অতি ব্যগ্র কৃষ্ণ মহাশয় ॥ এই পেয়ে অবসর, কৰ্ণ মহা ধনুৰ্দ্ধর, রথ উদ্ধারিতে বীর চলেঙ্গ ন পারিল দুই হাতে, শ্রম হৈল অঙ্গনাথে, পুনঃ রথ পশিল ভূতলে । সচেতন ধনঞ্জয়, দেখি কৃষ্ণ মহাশয়, অর্জনে কহেন কুতুহলে । আমার বচন ধর, ধনঞ্জয় ধনুৰ্দ্ধর, কাটি পাড় কর্ণ মহাবলে ৷ কৃষ্ণের বচন শুনি, অর্জন হৃদয়ে গণি, গাওঁীবে যুড়েন ক্ষুরবাণ । ক্ষুর প্রবেশিল চণ্ড, কার্টা পড়িল দণ্ড, শঙ্কা পায় কর্ণ বলবান । ঝণকে কাকে সুৰ্যৰাণ,পার্থ ছাড়িছেন বাণ, বন্ধ যেন ছাড়ে পুলের ।