পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গদাপৰ্ব্ব । অনন্ত জন্মের পাপ খণ্ডিবে ইহাতে । স্নানদান করে যেই দধীচি তীর্থেতে ॥ তথ্যস্ত বলিয়া চলিলেন দেবগণ । দধীচির অস্থি ল’য়ে সহস্ৰলোচন ॥ " ডাকি বিশ্বকৰ্ম্মারে কহেন শীঘ্ৰগতি । বঁজ নিৰ্ম্মাইয়া মোরে দেই মহামতি ॥ আজ্ঞা মাত্র বিস্মকৰ্ম্ম বজ্র নিরমিল । সকল অস্ত্রের তেজ তাহে সমপিল । ব্রহ্মরি নিকটে ল’য়ে গেলেন মঘৰ । প্রণাম করিল ইন্দ্র হয়ে নতগ্রীবা। বজ্ৰ দেখি হরষিত হয়ে পদ্মযোনি । ব্ৰহ্মমন্ত্রে অভিষেক করেন তখনি ॥ জীবন্যাস দিয়া ইন্দ্রে বলেন বচন । এই অস্ত্র ল’য়ে কর দানব মৰ্দ্দন ॥ ইন্দ্র বজ্ৰ পাইয়া হইয়৷ আনন্দিত । ব্রহ্মারে প্রণাম করি চলেন ত্বরিত ॥ দেবসৈন্য সমস্ত করিয়া সমাবেশ । নিজরাজ্য প্রাপ্তি হেতু উদযোগী স্বরেশ ॥ যুঝিতে চলিল বৃত্ৰাস্বরের সংহতি । ইন্দ্রের নিনাদ পাইলেক দৈত্যপতি ॥ নিজ সৈন্যে সাজিয়া চলিল দৈত্যেশ্বর । ইদলে মহাযুদ্ধ হয় ঘোরতর ধৈ মৰ্থী মহাযুদ্ধ হৈল বাণে বলে । পদাতি পদাতি যুদ্ধ &#ীয় ঘোড়ায় যুদ্ধ হৈল মহামার । "ণ বাণে গগনে হইল অন্ধকার শুনল বায়ব্য বাণ দোহে এড়ে রণে । श्रैर१ि नडॆ झरः। দোহাকার বাণে ॥ মেলি দৈত্য ইন্দ্রে গিলিবারে যুায়। বা বৃত্রের বল বসব পলায় ইন্দ্ৰ পলাইল দুরে ল’রে সব দেবে । কিছু তোমার শরীরে । নারায়ণং চতুৰ্ব্বাহুং শ্ৰীবৎস পদ ভূষিতং ه bها বিষ্ণুতেজ পাইয়া হইয়া বলবান। পুনঃ যুদ্ধ করিবারে গেল মরুত্বান। মহাযুদ্ধ স্বরান্বরে হয় ঘোরতর | পড়িল অনেক সৈন্য সংগ্রাম ভিতর ॥ যুদ্ধকালে বৃত্ৰান্থর ইন্দ্রে বলে বাণী। আমারে করহ বধ বাসব আপনি ॥ ধৰ্ম্মপরায়ণ বৃত্র পরম বৈষ্ণব । নানারূপে বৃত্ৰাহর শক্রে করে স্তব। স্বরপতি বলে বৃত্রে তুমি বলবান । তোমাকে ক্ষমিয়া আমি সম্বরিমু বাণ ॥ স্বত্র বলে কাৰ্য্যসিদ্ধি নহিল আমার । ইন্দ্র মোরে ক্ষমিয়া করিলা পরিহার ॥ শুন মুখ রণে পড়ি যাব স্বৰ্গলোক । এ কৰ্ম্ম না করি আমি বৃথা করি শোক l এত বলি বৃত্ৰান্থর ইন্দ্রে দেয় গালি । শুন রে পামর ইন্দ্র তোর প্রতি বলি । গুরুদার হরিলি করিলি মহাপাপ । তোরে মারি গৌতমের খণ্ডাইব তাপ ॥ এতেক কুবাক্য বৃত্র বাসবেরে বলে । শুনি স্বরুপভি ক্রোধে অগ্নি হেন জ্বলে ॥ কুলিশ ধরিয়া ইন্দ্র মারিলেন তারে । চুৰ্ণ হৈল বৃত্ৰাস্থর কুলিশ প্রহারে । অপর সকল দৈত্য পলাইল রণে । ইন্দ্র পুনঃ রাজা হৈল অমর ভুবনে ॥ যার যেই কাৰ্য্য সেই লভিল সত্বর । সকল অমর হৈল স্বস্থির অন্তর ॥ শুনহ ভূপতি কুরুবংশ চূড়ামণি । কহিলাম দধীচির তীর্থের কাহিনী । ! সেই তীর্থে বলরাম হৈয়া উপনীত । | স্নানদান যজ্ঞ করিলেন নিয়মিত ॥ মহাভারতের কথা মান পীযুষ । যাহার শ্রবণে নর হয় নিষ্কলুষ | শাণ্ডিল্যাশ্রমে নারদ-ৰলরামের সংৰাজ , , জিজ্ঞাসেন জন্মেজয় শুন মুনিষয় । পুনঃ কোন তীর্ষে চলিলেন বলধন