পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ > Ֆ বামনাবতারের ধ্যান—শ্ৰীবৎসকৌস্তুভেীরস্কং— [ মহাভারত । যুধিষ্ঠির বলিলেন শুন যদুনাথ । অনুমতি দিল কৃষ্ণ রাজার বচনে । কুরুক্ষেত্রে আইলেন দেখ জ্যেষ্ঠতাত ॥ হরষিত চলে সবে রাজ সম্ভাষণে ॥ কিমতে র্তাহারে আমি মুখ দেখাইব । পঞ্চ ভাই কৃষ্ণ সহ যান দ্রুতগতি । জিজ্ঞাসিলে সমাচার কি কথা কহিব ॥ রাজার চরণে সবে করিল প্রণতি ॥ গান্ধারীর ক্রোধে আর নাহিক নিস্তার ৷ | আমি যুধিষ্ঠির বলি পরিচয় দিতে । কি উপায় করি কৃষ্ণ বল এইবার ॥ রথ হৈতে ধৃতরাষ্ট্র নামিল ভূমিতে ॥ সতীর অব্যর্থ বাক্য শুন নারায়ণ । মহাভারতের কথা অমৃত সমান । আজি প্রাণ হারাইব ভাই পঞ্চজন ॥ কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ বৃথা যুদ্ধ করিলাম বৃথা পরাক্রম । _ রথ গুরুহত্যা আর জ্ঞাতির নিধন ॥ ধৃতরাষ্ট্র কর্তৃক লোহ-ভীম চূর্ণ করণ । বৃথা বধিলাম পুত্র স্বছন্দ বান্ধব । সঞ্জয় রাজারে ধরি বসায় আসনে । বৃথা যুদ্ধ করিলাম শুন শ্ৰীমাধব ॥ বসিলেন পঞ্চভাই রাজ বিদ্যমানে ॥ আজি গান্ধারীর ক্রোধে নাহিক নিস্তার । সাত্যকি সহিত কৃষ্ণ বসেন আপনি । অপাণ্ডব হইবেক সকল সংসার ॥ হেনকালে বলে ধৃতরাষ্ট্র নৃপমণি ॥ শুন কৃষ্ণ তোমারে করি নিবেদন । কোথা ভীম আইসহ দিব আলিঙ্গন । প্রাণ ল’য়ে পলাউক ভাই চারিজন ॥ তুমি মম ঘুচাইলে পিণ্ড প্রয়োজন ॥ ভীমাৰ্জ্জুন সহদেব নকুল কুমার । উরু ভাঙ্গি মারিলেক নৃপতি দুর্য্যোধনে । পলাইয়া প্রাণ রক্ষা করুক এবার ॥ একে একে সংহারিলে শতেক নন্দনে ॥ আমি যাব ধৃতরাষ্ট্র গান্ধারী গোচরে। শুনিয়া আমার হৈল হরিষ বিষাদ । শাপ দিয়া ভস্মরাশি করুন আমারে ॥ ; এস আলিঙ্গন দিয়া করিব প্রসাদ । আমার জীবনে আর নাহি প্রয়োজন । এতেক বলিয় রাজা বাড়াইল হাত । লোকের সাক্ষাতে নাহি দেখাব বদন ॥ নৃপতির অভিপ্রায় জানি রমানাথ ॥ যুধিষ্ঠির বচন শুনিয়া চক্রপাণি । আছিল লোহার ভীম দিলেন গোচরে । বলিলেন র্তারে তবে স্লমধুর বাণী ॥ ধৃতরাষ্ট্র নৃপতির আনন্দ অন্তরে ॥ শুন রাজা ভয় তুমি কর কি কারণে । ধরিয়া লোহার ভীম চাপিল কোলেতে । রাখিতে মারিতে কেহ নাহি আম বিনে ॥ | অযুত হস্তীর বল রাজার দেহেতে ॥ সবাকার আত্মা আমি পুরুষ প্রধান । ভাঙ্গিল লোহার ভীম মহাশবদ শুনি । অামা বিনা রাখিতে মারিতে নারে আন ॥ | চুর্ণ হয়ে পৃথিবীতে পড়িল তখনি ॥ সবে মেলি চলি যাব নৃপতির স্থানে । কপটে কান্দয়ে রাজা হৃদয়ে উল্লাস । দূর কর ভয় তুমি আমার বচনে ॥ মনেতে জানিল ভীম হইল বিনাশ ॥ গান্ধারী না দিবে শাপ আমি ইহ জানি পুত্ৰশোকে নরপতি না শুনয়ে কাণে । হরষিত চিত্তে তুমি চল নৃপমণি ॥ * | ভীম মরিলেক বলি হরষিত মনে ॥ কৃষ্ণের বচন শুনি রাজা যুধিষ্ঠির । নৃপতির দশ। তবে দেখি নারায়ণ । হাসিয়া বলেন তবে শুন যত্নবীর ॥ হাসিয়া বলেন স্থধ৷ মধুর বচন ॥ তোমার আজ্ঞাতে তবে সবে চলি যাব । শুন বৃদ্ধ নরপতি ন কান্দহ আর । শীঘ্ৰগতি চলহ বিলম্ব না করিব ॥ কুশলে আছেন ভীম পাণ্ডুর কুমার ॥