পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- নারীপঞ্চ । ] অস্থির পাণ্ডবগণে দেখি নারায়ণ । সাম্বন করেন কহি মধুর বচন ॥ । 母 ক্ৰন্দন কোলাহল । অঙ্কতে প্লাবিত হৈল সংগ্রামের স্থল। না হয় শোকের অন্ত পুনঃ পুনঃ বাড়ে । হা নাথ বলিয়া পতিহীনা ডাক ছাড়ে ॥ পড়িয়া গান্ধারী আছে অচেতনা শোকে । দুৰ্য্যোধন বিনা অন্য শব্দ নাহি মুখে ॥ কি বলিব ওহে কৃষ্ণ মুকুন্দ মুরারী। আজি হৈতে শূন্ত হৈল হস্তিনানগরী ॥ না ধরিল আমার বচন স্কুর্য্যোধন । তাহার কারণে শত পুত্রের নিধন । শান্তনু তনয় কত বুঝাইল নীত । দ্রোণ কত বুঝাইল শাস্ত্রের বিহিত ॥ বিদুর কহিল কক্ত বিবিধ প্রকারে । না শুনিল কদাচিত গুরু অহঙ্কারে ॥ না শুনিল কার কথা যুদ্ধ কৈল পণ । সকল জীবের গতি তুমি নারায়ণ ॥ শুনিয়াছি আমি সব সঞ্জয়ের মুখে । আর কত অনুযোগ কহিব তোমাকে ॥ কহিতে কহিতে ক্রোধ হৈল অতিশয় । পুনরপি শোক ত্যজি গোবিন্দেরে কয় ॥ ওহে কৃষ্ণ জনাৰ্দ্দন দৈবকীকুমার। তোমা হৈতে হৈল মম বংশের সংহার ॥ অনর্থের মুল তুমি দেব নারায়ণ । কৰ্ম্ম দেখাইয় কর দোষ প্রক্ষালন ॥ তোমাতে সংহার হয় মিলয় তোমাতে । জীবের কারণ আর নাহি তোমা হৈতে ॥ সকল তোমার মায়া তুমি সে প্রধান । গুণ দোষ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম তুমি ভগবান ॥ থাকিয়া প্রাণীর ঘটে যে বলাও যারে । প্রাণী করে সেই কৰ্ম্ম দোষ কেন তারে । অসাধুর মত কোথা ধৰ্ম্মের বাসন । সাধুব্যক্তি তব পদ করয়ে ভাবন ॥ সাধুৰ্যত প্রশংসা করয়ে চক্রপাণি । সংসারে যতেক দেখি তার মূল ভূমি ॥ = ৯১-৯২ বিলপত্রিমেত্ৰং পাশারুণোৎপলক্ষপালক শূলহস্তং— অতএব কহি নাথ কর অবধান । করাইলে কৌরব পাণ্ডবেতে সংগ্রাম ॥ ভেদ জন্মাইলে তুমি ওহে নরপতি । না পারি কহিতে দেব তোমার প্রকৃত্তি ॥ কৌরব পাণ্ডব তব উভয় সমান । তাহে ভেদ যুক্তি নহে শুন ভগবান ॥ ধৰ্ম্ম আত্মা যুধিষ্ঠির কিছু নাহি জানে। সংগ্রামে প্রবৃত্ত ধৰ্ম্ম তোমার সন্ধানে ॥ হিংসার নাহিক লেশ ধৰ্ম্মের শরীরে । ভেদ জন্মাইলে তুমি কহিয় তাহারে ॥ যদি বিসম্বাদ হৈল ভাই দুইজনে । তোমার উচিত নহে উপস্থিতি রণে ॥ তারে বন্ধু বলি সব করায় সমতা । তুমি শিখাইয়া দিলে বিবাদের কথা । কহিতে তোমার কথা দুঃখ উঠে মনে । সমান সম্বন্ধ তব কুরু পাণ্ডুসনে ॥ বরণ করিতে তোমা গেল দুৰ্য্যোধন । পালঙ্কে আছিলা তুমি করিয়া শয়ন ॥ " জাগিয়া আছিল তুমি দেখি দুৰ্য্যোধনে । কপটে মুদিয়া অপখি নিদ্রা গেলে কেনে ॥ পশ্চাতে অর্জন আসে সে কথা শুনিয়া । উঠিয়া বসিলে মায়া নিদ্রা উপেক্ষিয় ॥ " নারায়ণী সেনা দিলা আমার নন্দনে । ছলিতে অৰ্জ্জুন বাক্য শুনিল প্রথমে ॥ সারথি হইলে তুমি অর্জুনের রথে । সমান সম্বন্ধ আর রহিল কিমতে ॥ | তবে সে হইত ব্যক্ত সমান সম্বন্ধ । তোমাতে উচিত নহে শুন কৃষ্ণচন্দ্র ৷ তারপর এক কথা শুনহ অচু্যত । করিলে দারুণ কৰ্ম্ম শুনিতে অস্তুর্ত ॥ মধ্যস্থ হইয়া যবে গিয়াছিলে তুমি । • চাহিলে সে পঞ্চগ্রাম শ্রুত আছি আমি ॥ ন দিলেক মম পুত্র কি ভাবিয়া মনে। আসিয়া কহিলে তুমি পাণ্ডব-নন্দনে ॥ সদাচারী পাণ্ডুপুত্র রাজ্য নাছি মনে । । তাহে তুমি ভেদ করি কহিলা বচনে ॥ "