পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YBBBBBBBBBBBBBBBBBBSBBBBBBBBBBBBBBBBBBBBBBBBBS এতেক বলিয়া মায়া করি নারায়ণ । ’ পুত্ৰশোকে গান্ধারকে করেন মোচন । মহাভারতের কথা অমৃত সমান ॥ কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ ধিষ্ঠিরাদি কর্তৃক মৃত-স্বজনগণের শরীর সৎকার। কৃষ্ণের বচনে ধৃতরাষ্ট্র নরপতি । যুধিষ্ঠিরে ডাকিয়া বলিছে মহামতি ॥ মন দিয়া শুন পুত্র আমার বচন । কুরুক্ষেত্র যুদ্ধেতে মরিল যত জন ॥ রাজ-রাজ্যেশ্বর রাজা কুমার রাজার। গণনা করিতে নারি কতেক হাজার ॥ সুহৃদ বান্ধব কার? নাহি সহোদর । সবাকার প্ৰেতকৰ্ম্ম করহ সত্বর ॥ অগ্নি কার্য্য সবাকার করহ এখন ॥ নিমন্ত্রিয়া যতেক আনিল দুর্য্যোধন । তব আমন্ত্রণে এ’ল যত যত রাজ । না করিলে প্রেতকার্য্য হইবেক লাজ ॥ শ্ৰীধৌম্য সঞ্জয় আর বিদুর স্থমতি । ইন্দ্রসেন ধৰ্ম্মসেন যুযুৎস্থ প্রভূতি ॥ ঈহার! সকলে যা’ক তোমার সহিত । করুক অন্ত্যেষ্টি কৰ্ম্ম যে যার উচিত ॥ কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে যত এসেছিল প্রাণী । সবার সৎকার কর ধৰ্ম্ম নৃপমণি ॥ ধুতরাষ্ট্র আজ্ঞা পেয়ে ধর্মের নন্দন । চিতাধুমে অন্ধকার করিল গগন ॥ যুযুৎস্থ দিলেন অগ্নি রাজার আজ্ঞায় । ভীমাৰ্জুন যুধিষ্ঠির আছেন সহায় ॥ জ্ঞাতিগণে অগ্নি দিল ধৰ্ম্মের নন্দন ॥ চিতাধূমে অন্ধকার হইল গগন । অপর যতেক রাজা মৃত কুরুক্ষেত্রে । যুযুৎস্থ দিলেন অগ্নি রাজ আজ্ঞ মাত্রে ॥ অষ্টাদশ অক্ষৌহিণী হইল দাহন । অমুমৃত হইল যতেক নারীগণ ॥ বিষাদ পাইয়া ধৰ্ম্ম করেন রেদিন । প্রবোধ করেন র্তারে শ্ৰীমধুসুদন ॥ অপূৰ্ব্ব কৃষ্ণের লীলা কে বুঝিতে পারে। এ তিন ভুবন আছে যাহার শরীরে ॥ বিশ্বাস করয়ে লোক এ সব বচনে। বিশ্বরূপ যশোদা দেখিল বিদ্যমানে ॥ চারি ভাই সঙ্গে ল’য়ে পাণ্ডুর কুমায় । গেলেন তপর্ণ স্নান হেতু যত আর ॥ গঙ্গায় চলিল সব গোবিন্দ সংহতি । পঞ্চ পাণ্ডবাদি ধৃতরাষ্ট্র নরপতি ॥ গান্ধারী প্রভূতি কুন্তী দ্রুপদনন্দিনী । উত্তর প্রভূতি আর যতেক রমণী ॥ স্নান আদি কৈল সবে জাহ্লবীর জলে । ধৌম্য পুরোহিত মন্ত্র পড়ায় সকলে ॥ দুৰ্য্যোধন আদি করি শত সহোদর । সবার তপণ করিলেন নৃপবর ॥ আর যত রাজগণ সংগ্রামে মরিল । একে একে সবাকার তপণ করিল ॥ ক্ষত্র মত নিত্যকৰ্ম্ম ছিল পূৰ্ব্বাপর। সেইমত করিল পাণ্ডুর সহোদর ॥ স্ত্রীপুরুষ কৈল যত পারত্রিক কৰ্ম্ম । যেমন বিধান ছিল শাস্ত্রমত ধৰ্ম্ম ॥ হেনকালে কুন্তীদেবী গিয়া সেইখানে । যুধিষ্ঠিরে কহিলেন মধুর বচনে ॥ কর্ণ মহাবীর হয় আমার নন্দন । স্থতপুত্র বলি যারে বলিল বচন ॥ কন্যাকালে জন্ম হ’য় আমার উদরে । সূর্য্যের ঔরস্তুে জন্ম জানাই তোমারে ॥ অসময় বলি তায়ে করি বিসর্জন । মঞ্জুষা করিয় ভাসাইলাম তখন ॥ তবে স্থত পেয়ে তারে করিল পালন । প্রসিদ্ধ হইল সেই রাধীর নন্দন ॥ বলবান দেখি হর্যোধন নিল তারে । পূর্বের বৃত্তান্ত এই জন্যই তোমারে ॥ মায়ের বচন শুনি রাজা যুধিষ্ঠির । বরিষয়ে দুই ধারে নয়নের মীর ॥ বিষাদ কtaযু ধৰ্ম্ম করেন রোদন । প্রবোধ করেন তাৰুে শ্ৰীমধুসুদন ॥