পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮১৭

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বমেধপর্ব | J’ শুক্রের ধ্যান—শুক্রং ভোজকটং বিপ্রং ভাগবঞ্চ নবাঙ্গুলং Ե-o G: হংসধবজ রাজার নগরে অশ্বের গমন ও তদুপলক্ষে নানা সংবাদ । সেই দেশে হংসধ্বজ নামে নৃপবর। বড়ই ধাৰ্ম্মিক রাজা ধৰ্ম্মেতে তৎপর ॥ সুরথ সুধম্বা তার দুইটি নন্দন । বিষ্ণুভক্ত দুইজন বিষ্ণুপরায়ণ ॥ ঘোড়া উপনীত হৈল তাহার নগরে । দুত গিয়া সমাচার কহিল রাজারে ॥ যুধিষ্ঠির করিলেন অশ্বমেধ ক্রতু। অৰ্জুন আইল অশ্ব রাখিবার হেতু ॥ নগরে আইল ঘোড়া শুনহ রাজন । সঙ্গে আসিয়াছে তার বহু সৈন্যগণ ॥ দূতমুপে কথা শুনি রাজা আনন্দিত । আলিঙ্গন দূতে দেন মনে হয়ে প্রীত ॥ কি কহিলে আরে দূত শুভ সমাচার। আইল আমার পুরে পাণ্ডুর কুমার ॥ আজি সে আমার জন্ম হইল সফল । অৰ্জ্জুন আগত পুরে বড়ই মঙ্গল ॥ যেখানে অৰ্জ্জুন তথা দেব নারায়ণ । এই কথা অতি সত্য কহে মুনিগণ ॥ দেখিব মাধবে আমি পাণ্ডব মিলনে । চিরদিন সাধ আছে কৃষ্ণ দরশনে ॥ ধরিয়া যজ্ঞের ঘোড়া আনহু সত্বরে । এত বলি নৃপতি ডাকিল অনুচরে ॥ পাইয়। রাজার আজ্ঞা অনুচরগণ । পরিল যজ্ঞের ঘোড়া করিয়া যতন ॥ অশ্ব ল’য়ে দিল হংসধবজের গোচরে । মহানন্দে নরপতি আপন পাসরে ॥ যতন করিয়া অশ্ব রাখিল রাজন। অর্জনে ধরিতে পুনঃ করিলেক মন ॥ ইঃসঞ্চাজ বলে ওহে শুন বীরগণ । যতন করিয়া সবে ধরিব অর্জন ॥ তবে সে পাইব আমি কৃষ্ণ দরশন । সবান্ধবে পরশিব তাহার চরণ ॥ এ বড় আমার সাধ আছয়ে অন্তরে । দেথিব সে নারায়ণ আপনার ঘরে lি আমার তপের ফল হইল উদয় । সে কারণে আইলেন পাণ্ডুর তনয় ॥ বান্ধহ যজ্ঞের ঘোড়া আর নাহি ডর । এখনি অর্জন সহ হুইবে সমর ॥ ঘোড়া বান্ধা গেলে পার্থ কোথাও না যাবে । অৰ্জ্জুন হইতে সবে গোবিন্দ দেখিবে ॥ উত্তপ্ত করহ তৈল তাত্রের কুণ্ডেতে । শীঘ্র রণে না আসিলে ফেলিবে তাঁহাতে ॥ এত বলি রাজা দিল দামামা ঘোষণ । পরস্পর সে কথা শুনিল সৰ্ব্বজন ॥ রাজার আদেশ পেয়ে রাজ-পুরোহিত । তাত্রের কটাহে কৈল তৈলেতে পূর্ণিত ॥ তৈল তপ্ত যতনে করিল মুনিবর । তাহা শুনি ভয় পায় যত ধনুৰ্দ্ধর ॥ সত্বরে আইল সবে নানা অস্ত্র ধরি । বিমানে চড়িয়া কেহ তুরঙ্গ উপরি ॥ নৃপতি তনয় যে সুধম্বা ধনুৰ্দ্ধর । শীঘ্ৰগতি আইসে সেহ করিতে সমর } হেনই সময়ে তবে সুধম্বার নারী । যোড়হস্ত করি বলে লজ্জ পরিহরি ; শুন প্রাণনাথ তব কোথায় গমন । নানা অস্ত্র বান্ধিয়াছ কিসের কারণ ॥ সুধম্বা বলেন তত্ত্ব নাহি জান তুমি । যুদ্ধ হেতু আদেশ করেন নৃপমণি ॥ অৰ্জ্জুন আইল পুরে তুরঙ্গ লইয়া । ঘোড়া ধরিলেন পিতা দূত পাঠাইয়া । অৰ্জ্জুন সারথি কৃষ্ণ জানিয়। শ্রবণে । যুদ্ধ অভিলাষ পিতা কৈল সে কারণে ॥ চিরদিন আছে সাধ কৃষ্ণ দরশনে । অৰ্জ্জুন ধরিতে অজ্ঞা দিল লে কারণে ॥ সেই হেতু দিল রাজা নগরে ঘোষণা । সাজিয়া চলিল যুদ্ধে যত রাজসেন ॥ শুন প্রিয়ে পিতার মনের অভিলাষ । আনিয়া দেখাব আজি দেব শ্ৰীনিবাস ॥ যাত্রা করি যাই আমি করিবারে রণ । জয়ধ্বনি দিয়া গৃহে করহ গমন ॥