পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীনাথ SS8 ভাসিয়া উঠিতে হয়। এইরূপে পুষ্করিণীটা সঁতার কাটিয়া প্ৰায় নিশা শেষে যখন সে তাহার ক্লান্ত অবসন্ন নিৰ্জীব দেহখানা কোনরূপে টানিয়া আনিয়া সোপানের উপর ফেলিল, দেখিল, যে কোনও অবস্থায় যে কোনও কারণেই হোক এমন করিয়া একটু একটু করিয়া প্ৰাণ পরিত্যাগ করা বড় সহজ কথা নহে। পূর্বে সে বিরহ-ব্যথায় জর্জরিত-তনু হইয়া দিনে শত বার করিয়া মরিতে যাইত, তখন ভাবিত, প্ৰাণটা রাখা না রাখা নায়ক-নায়িকার একেবারে মুঠার ভিতরে, কিন্তু আজ সমস্ত রাত্রি ধরিয়া প্ৰাণটার সহিত ধ্বস্তাধবস্তি করিয়াও সেটাকে বাহির করিয়া ফেলিতে পারিল না। আজ সে বিলক্ষণ বুঝিল, তাহাকে জন্মের মত বিদায় দেওয়া-তাহার একাদশবর্ষীয় বিরহ ব্যথায় কুলাইয়া উঠে না । ভোর-বেলায় যখন সে বাটী আসিল, তখন তাহার সমস্ত শরীর শীতে কঁাপিতেছে ; মা জিজ্ঞাসা করিলেন, অনু, এত ভোরেই নেয়ে ५eलि भा ? अश्र धाए। नांख्शिा डानाश्ल, श् । এ-দিকে দত্ত মহাশয় একরূপ চিরস্থায়ি-রূপে শ্বশুর-ভবনে আশ্রয় লইয়াছেন। প্ৰথম প্ৰথম জামাই-আন্দর উর্তাহার কতকটা মিলিত, কিন্তু ক্ৰমশঃ তাহার কম পড়িয়া আসিল । বাড়ী শুদ্ধ কেহই প্ৰায় তঁহাকে দেখিতে পারে না ; চন্দ্ৰনাথবাবু প্ৰতি কথায় তাহাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ, অপদস্থ, লাঞ্ছিত কবেন ; তাহার একটু কারণও হইয়াছিল ; একে ত চন্দ্রবাবুর হিংসাপরবশ অন্তঃকরণ, তাহাতে আবার অকৰ্ম্মণ্য জামাতা বলিয়া জগবন্ধুবাবু কিছু বিষয়-আশয় দিয়া যাইবেন। বলিয়াছিলেন। অনুপমা কখনও আসে না ; শাশুড়ীঠাকুরাণীও কখনও সে বিষয়ে তত্ত্ব লন না ; তথাপি রাম দুলালের মনের আনন্দে দিন কাটিতে লাগিল । যত্ন-আত্মীয়তার তিনি বড় একটা ধার ধারিতেন না ; যাহা পাইতেন, তাহাতেই সন্তুষ্ট হইতেন। তাহার উপর দুবেল পরিতোষজনক আহার ঘটিতেছে । বৃদ্ধাবস্থায় দত্ত মহাশয় ইহাই যথেষ্ট বলিয়া মানিয়া লইতেন ; কিন্তু আঁহার সুখভোগ করিবার অধিক দিনও আর বাকি ছিল না। একে জীৰ্ণ