পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांनांथ বিন্দু। তরঙ্গও ঘরের বাহিরে কাহারও কানে পৌছিল না। নির্জন বাহিরে রাত্রির আঁধার নিঃশব্দে গাঢ়তার হইয়া উঠিতে লাগিল, শুধু স্বল্পালোকিত কক্ষের মধ্যে এই দুই তরুণী রমণী একজন তাহার বিদীর্ণ বক্ষের সমস্ত জ্বালা আর একজনের গভীর-শান্ত ক্ৰোড়ের মধ্যে নিঃশেষ করিয়া ঢালিয়া দিতে লাগিল । ক্ৰমশঃ শান্ত হইয়া কমলা স্বামীর সম্বন্ধে অনেক প্ৰশ্নই জিজ্ঞাসা করিল, কিন্তু কেন যে নিজে গিয়া ভঁাহাকে দেখিবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করিল না। তাহা বিন্দু কিছুতেই ভাবিয়া পায় নাই। একবার এমনও ভাবিবার চেষ্টা করিয়াছিল, হয়ত বড়লোকদের এমনই শিক্ষা এবং সংস্কার । সেবা-শুশ্ৰষার ভার চাকর-দাসীদের উপর দিয়া বাহির হইতে খবর লওয়াই তাহদের নিয়ম। হঠাৎ জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা ঠাকুরবি, তোমার দাদার জ্ঞান হ’লে আমাকে কি একবারও খোজ করেন নি ? একবার করেছিলেন, বলিয়াই বিন্দু হঠাৎ থামিয়া গেল। কমলা তাহা লক্ষ্য করিল। কিন্তু প্রশ্ন না করিয়া শুধু উৎসুক ব্যাকুল দৃষ্টিতে বিন্দুর মুখের পানে চাহিয়া রহিল। বিন্দু কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া কহিল, দাদার জ্ঞান হ’লে তিনি আমাকে, তুমি মনে ক’রে গলা ধ’রে চেচিয়ে উঠেছিলেন, বল কমলা, এ কাজ তুমি কর নি ? আমি মরেও সুখ পাব না। কমলা, শুধু একবার বল, এ কাজ তোমার দ্বারা হয় নি। কমলা নিশ্বাস রুদ্ধ কহিল, তার পরে ? বিন্দু কহিল, আমি তা জানি নে বেী, তিনি কোন কথা জানতে চেয়েছিলেন । আমি জানি ঠাকুরবি, তিনি কি জানতে চান, বলিয়া কমলা একেবারে সোজা উঠিয়া বসিল । বিন্দু কমলার হাত ধরিয়া ফেলিয়া বলিল, তুমি সে ঘরে যেয়োনা বৌ । ८दरुन थांब ना ? ডাক্তার নিষেধ করেছিলেন, তুমি গেলে ক্ষতি হ’তে পারে।