পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ከሦዓ বোকা স্বামীর হাত আপনার হাতে টিপিয়া ধরিয়া কঁাদিয়া বলিল, পরজন্ম विश्वांना कब्र क्रेि ? সত্যেন্দ্ৰ কঁাদিতে কঁাদিতে বলিল, করতাম কি না জানি না, কিন্তু আজ হতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করব। সরলার মুখে ঈষৎ হাসির চিহ্ন প্ৰকাশ পাইল। ঔষধ খাওয়াইবার সময় হইয়াছে দেখিয়া, কামাখ্যাবাবু, হরদেববাবু এবং ডাক্তারবাবু কক্ষে প্ৰবেশ করিলেন। ডাক্তার নাড়ী টিপিয়া বলিলেন, আশা বড় কম, তবে ঈশ্বরের ইচ্ছা । ঈশ্বরের ইচ্ছায় পরদিন বেলা সাতটার সময় সরলার মৃত্যু হইল। সন্ধ্যার সময় হরদেববাবু সত্যেন্দ্ৰকে লইয়া কলিকাতায় ফিরিলেন। তৃতীয় পরিচ্ছেদ আবার বিবাহ কি যেন কি একটা হইয়া গিয়াছে। রাজশয্যায় শয়ন করিয়া ইন্দ্ৰত্বের সুখ কথঞ্চিৎ উপলব্ধি করিতেছিলাম, টানিয়া কে যেন সুখের স্বপ্নটুকু ভাঙ্গিয়া দিয়াছে। অৰ্দ্ধারাত্রে উঠিয়াছি, ঘুম ভাঙ্গিয়া গিয়াছো-আমার আজীবন সহচর। সেই অৰ্দ্ধছিন্ন খটায় শুইয়া আছি-আমি কঁদিব না হাসিব ? সুখের স্রোতে অনন্তে ভাসিয়া যাইতেছিলাম, হঠাৎ যেন একটা অজানা দলের পাশে আবদ্ধ হইয়া গিয়াছি, আর বুঝি কখনও ভাসিয়া যাইতে পাইব না। সব যেন উল্টাইয়া গিয়াছে । জীবনের কেন্দ্ৰ পৰ্য্যন্ত কে টানিয়া পরিধির বাঙ্গিরে লইয়া গিয়াছে। কিছুই যেন আর ঠাহর হয় না? ঐ কি হইল ? নিশীথে সত্যেন্দ্রনাথ জানালায় বসিয়া সাগরপুরের অন্ধকার দেখিতেছিল। গাছগুলো কি একটা নিস্তব্ধ ভাব সত্যেন্দ্রর সাহিত বিনিময় করিতেছিল ।