পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২ )

ধ্রুবের পুণ্য-উপাখ্যান, সদাচার-নিরূপণ, প্রভৃতি অনেক অবান্তর-তথ্য ধৰ্ম্ম-পিপাসু নর-নারীর কৌতূহল নিবৃত্ত করিবে। কিন্তু সংস্কৃতানভিজ্ঞ জনগণ কাশীখণ্ডের অমৃতপ্ৰবাহ আস্বাদনে বঞ্চিত, তাই ধৰ্ম্মপ্ৰাণ নিবারণচন্দ্ৰ দাস এই বৃহৎ গ্রন্থের অনুবাদকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন। তাঁহার প্রয়াস সফল হইয়াছে। কাশীখণ্ড আজ বঙ্গানুবাদরূপে বঙ্গের জনসাধারণের পক্ষে একান্ত সুলভ। সহৃদয় নিবারণচন্দ্ৰ দাসের আর একটী কীৰ্ত্তির কথা এ স্থলে উল্লেখ করিলে অসঙ্গত হইবে না। তাঁহার সমগ্ৰ বাসগৃহখানি এবং দেহান্তে তাঁহার সম্পত্তির অবশেষ অনাথ, আতুর এবং বৃদ্ধাদির নিমিত্ত উৎসর্গীকৃত করিয়া রামকৃষ্ণ-মিশনের কাশীস্থ সেবাশ্রমের উপর ন্যস্ত করিয়া গিয়াছেন। সেবাশ্রম আদরের সহিত তাঁহার এই শ্লাঘনীয় দান মস্তকে বরণ করিয়া লইয়াছে। বলা বাহুল্য, অনাথ, আতুর এবং বৃদ্ধাদির শুশ্রূষাই সেবাশ্রম প্ৰতিষ্ঠার একমাত্র উদ্দেশ্য। রামকৃষ্ণ মিশনের পরিচয় বোধ হয়, আর দিতে হইবে না।

 পরিশেষে বক্তব্য এই যে, কাশীখণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণ প্ৰকাশ করিবার ভার কাশীস্থ রামকৃষ্ণ-মিশন-সেবাশ্রমের উপর পড়িয়ছে। ইহার উপস্বত্ব দরিদ্র, আতুর প্ৰভৃতির সেবাতেই ব্যয়িত হইবে। হে ধৰ্ম্মপ্ৰাণ হিন্দুগণ, ইহার সাহায্যে আপনাদিগের ধৰ্ম্ম-পিপাসার যদি কথঞ্চিৎ নিবৃত্তি হয় এবং পূজ্যপাদ স্বামী বিবেকানন্দের “দরিদ্র-নারায়ণের” যদি কিছুমাত্ৰও দুঃখ নিবারণ হয়, তাহা হইলে আমাদিগের প্ৰয়াস সফল মনে করিব।

কাশীধাম

আশ্বিন, ১৩২২ সন

প্রকাশক।