“আপনার মা নাকি বলেছিলেন।”
তিনি হাসিয়া উঠিয়া বলিলেন “মায়ের কথা!—মে মেয়েটিকে তাঁর পছন্দ হয়—অবশ্য সেজন্য মূর্ত্তিমতী লক্ষ্মী সরস্বতীর যে আবশ্যক তা বলতে পারছিনে—তাকেই তিনি বৌ করবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এখন বহু বিবাহ প্রচলিত না থাকায় তাঁর বোধ হয় বিশেষ কষ্টের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সে যাক, আমার কথার কি কোন উত্তর নেই?”
কি উত্তর দিব? আমি কি সমস্ত প্রাণে তাঁহারি নহি; তবে কোন প্রাণে বলিব আমি অন্যের হইতে চলিয়াছি। তবুও বলিলাম, কি করিয়া বলিলাম ঠিক জানিনা,—
“আমি engaged; বাবা অন্যের সঙ্গে আমার বিয়ে স্থির করেছেন।”
একটা শোক নিস্তব্ধতায় আনন্দোচ্ছাস নিমেষে ডুবিয়া গেল। কিছু পরে তিনি বলিলেন,—যেন আপনার বিক্ষিপ্ত চিন্তারাশি সংহত একত্রীভূত করিতে করিতে আপন মনেই বলিলেন—“কিন্তু মিষ্টার মজুমদার এরূপ ব্যবহার করবেন? আমাকে,—থাক সে কথা তাঁর সঙ্গে —আপনাকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করি, আপনারো কি তাই ইচ্ছা?”
তখন আমার লজ্জা সঙ্কোচ জ্ঞান ছিল না, আমি পুরুষের মত সুস্পষ্ট ভাবে বলিলাম—“না অন্য কাউকে ভাল বাসতে আমার শক্তি নেই।”
একটা বৈদ্যুতিক স্ফুরণ তাঁঁহাতে প্রত্যক্ষ করিলাম, ইহা কি আনন্দের? কিছু পরে তিনি বলিলেন “সে কথা কি আপনার বাবাকে বলেছিলেন?”