পাতা:কাহিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পতিতা
১১

মদির শীকর-সিক্ত আকাশ
ঘন হয়ে যেন ঘেরিয়া আসে।
মোরা গাঁথা মালা প্রমোদরাতের-
গেলে প্রভাতের পুষ্পবনে
লাজে ম্লান হয়ে মরে ঝরে যাই,
মিশাবারে চাই মাটির সনে।
তবু, তবু ওগো কুসুমভগিনী,
এবার বুঝিতে পেরেছি মনে,
ছিল ঢাকা সেই বনের গন্ধ
অগোচরে কোন্ প্রাণের কোণে।


সেদিন নদীর নিকষে অরুণ
আঁকিল প্রথম সোনার লেখা,
স্নানের লাগিয়া তরুণ তাপস
নদীতীরে ধীরে দিলেন দেখা।
পিঙ্গল জটা ঝলিছে ললাটে
পূর্ব-অচলে উষার মতো-
তনু দেহখানি জ্যোতির লতিকা,
জড়িত স্নিগ্ধ তড়িৎশত।
মনে হল, মোর নবজনমের
উদয়শৈল উজল করি
শিশিরধৌত পরম প্রভাত
উদিল নবীন জীবন ভরি।