পাতা:কাহিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কাহিনী
২৫

অজেয় তাহার শত্রু। নব অলঙ্কার
কোথা হতে, হে কল্যাণি!

ভানুমতী


জিনি বসুমতী
ভুজবলে, পাঞ্চালীরে তার পঞ্চপতি
দিয়েছিল যত রত্ন মণি অলঙ্কার,
যজ্ঞদিনে যাহা পরি ভাগ্য-অহঙ্কার
ঠিকরিত’ মাণিক্যের শত সূচীমুখে
দ্রৌপদীর অঙ্গ হতে,—বিদ্ধ হ’ত বুকে
কুরুকুলকামিনীর—সে রত্নভূষণে
আমারে সাজায়ে তারে যেতে হল বনে।

গান্ধারী


হা রে মূঢ়, শিক্ষা তবু হল না তোমার,
সেই রত্ন নিয়ে তবু এত অহঙ্কার।
একি ভয়ঙ্করী কান্তি, প্রলয়ের সাজ।
যুগান্তের উল্কাসম দহিছে না আজ
এ মণি-মঞ্জীর তোরে? রত্ন-ললাটিকা
এ যে তোর সৌভাগ্যের বজ্রানলশিখা।
তোরে হেরি অঙ্গে মোর ত্রাসের স্পন্দন
সঞ্চারিছে,—চিত্তে মোর উঠিছে ক্রন্দন,―
আনিছে শঙ্কিত কর্ণে, তোর অলঙ্কার
উন্মাদিনী শঙ্করীর তাণ্ডব-ঝঙ্কার।