পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR কিল্পর দল গোকুল বিয়ে থাওয়া করেনি, বয়েস এই মোটে পচিশ বছর, বাপ মারা যাওয়ার পরে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে আজ আট দশ বছর বাড়ী বসে। আছে-গরীব বামুনের সহায় সম্পত্তিহীন ছেলে, কে চাকুরী করে দেবে ? --লেখাপড়ারও তেমন কিছু জোর নেই। সংসার অবিশ্যি খুব বড় নয়, সে আর তার মা। গোকুলের বাবা বেঁচে থাকৃতেই মেয়েটির বিবাহ দিয়ে গিয়েছিলেন বারো বছর বয়সে, তাই রক্ষে-নইলে এ বাজারে আর ভগ্নীর বিবাহ দেওয়া গোকুলের সাধ্যে কুলিয়ে উঠতো না। গোকুলের মা বল্লে, আমার বুদ্ধি শোন গোকুল, চল আমরা কলকাতায় যাই। সেখানে কত লোক কত কি করঢ়ে, সেখানে গেলে তোর একটা হিল্পে হ’য়ে যাবেই-আমিও তোকে ফেলে থাকতে তো পারবে না। আমিও সঙ্গে যাই। বড় আমি বাগানটা বিক্রী করে ফেলি। এ প্রস্তাব মা আরও কয়েকবার করেচে, কিন্তু গোকুলের গা ছেড়ে কোথাও যেতে মন সরে না । কলকাতা সহরকে সে মনে মনে ভয় করে। অত বড় সহরে তো তার জন্যে চাকুরী নিয়ে লোকে বসে আছে । মারা যেমন কথা । আজ কিন্তু মার কথায় তার মনটা উৎসাহিত হয়ে উঠলো। ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখলে হয় একবার। এখানেও তো মাঝে মাঝে অনাহার সুরু হ’য়েচে আজকাল, সেখানে তার চেয়ে আর কি বেশী কষ্ট হবে ? কলকাতায় পয়সা রোজগারের অনেক রকম উপায় আছে সেও শুনেচি दफ्रें । সারারাত ধরে মা ও ছেলে পরামর্শ করলে। বড় বাগান বিক্রী করলে এখন দর হবে না, বন্ধক রেখে সেই টাকা থেকে প্ৰথম মাস কয়েক সহরের খরচ চলবে। এখানকার বাড়ীতে কিছুদিন তালা বন্ধ থাকুক। অবশেষে কলকাতার যাওয়াই ধাৰ্য্য হােল। যাদুহরি কুণ্ডু। স্থানীয় বাজারের বড় কাপড়ের মহাজন-বাগানখানা পঞ্চাশটি মাত্র টাকায় তার