পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

केिन्द्र ब्ल St. গিল্পীমা ওর সঙ্গে অনেক কথাবাৰ্ত্তা কইলেন, লোকটি বড় ভালো । বল্লেন-আমাদের ঠাকুরবাড়ীতে রাত্তিরের ভোগ ব্ৰাহ্মণ-বাড়ী দেওয়ার নিয়ম আছে। তুমি বাছা রোজ এসে আরতির পরে ভােগ নিয়ে যেও, আমার বলা রইল। কত রবাহুত, অনাহুত লোক এসে খেয়ে যায়। তুমি আর তোমার ছেলে খেলে আমি খুন্সী হবে। সেদিন থেকে গোকুলের মায়ের কপালে যা ঘটতে লাগলো-সে স্বপ্নেও তেমন সৌভাগ্য কখনো কল্পনা করে নি। মস্ত বড় এক থালা-ভক্তি লুচি, তরকারি, মিষ্টি, ফলমূল গোকুলের মায়ের বাড়ী নিয়ে যাওয়াই কষ্ট। কে কত খায় ? বন্ধু নাপিত পৰ্যন্ত লুচি খেয়ে আর পারে না । রোজ রাত্রে লুচি। রোজ রাত্রে একরাশ ফলমূল, বাদাম পেস্তা ছানা মিষ্টি। বড় লোকের প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহের নৈশ ভোগের যা কিছু উপকরণ সকল ওদের বাড়ীতে। মাঘ মাসের দিকে ঠাকুরবাড়ীর পুরাতন টহলদার মারা গেল। গিমীমা গোকুলের মাকে সে কাজে নিযুক্ত করলেন। মাইনে পাবে সাত টাকা, দু’বেলা ভোগের প্রসাদ পাবে। সকলের ভোগটা খুব জমকালো, উপকরণেও বেশী-কিন্তু চারজন ব্ৰাহ্মণের মধ্যে সে ভোগটা বিলি করে দেওয়ার প্রথা অনেকদিন থেকে প্রচলিত, গোকুলের মায়ের সুপারিশে গোকুল সেই চারজন নিমন্ত্রিত ব্ৰাহ্মণের অন্যতম হয়ে iिछालों । এছাড়া পূজাপার্বণে, বড় বড় উৎসব উপলক্ষে কাপড়-চােপড়ও পাওয়া যায়-ভোজন দক্ষিণা থেকে ওঠে ! গিমীমা গোকুলের মাকে বড় অনুকম্পার চোখে দেখতে আরম্ভ করেচেন, এতে অন্যান্য বি-চাকরের চোখ টাটায়। একদিন গিল্পীমা বল্লেন-হঁ্যা বাছা, তোমার ছেলে লেখাপড়া জানে