পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`' नि । yS69 থেকে লোকে ওকে ছেকে ধরল। আজ শনিবার, গ্রামের হাট, সব লোকে আজ সেখানে জড় হয়েচে, শেষ হাটে জিনিষপত্র সস্তা হয়। বলে অনেকেই বেলা শেষ করে তবে হাটে আসে। -আরে গোকুল না ? বেঁচে আছিস ? আমরা ভাবলাম-এতদিন কোথায় ছিলে গোকুল বাবাজি, তোমার মা কোথায় ? -এই যে গোকুল-দা, কোথেকে এ্যাদ্দিন পরে, সব ভালো তো ? নানা অধীর আগ্ৰহ ভরা প্রশ্নোত্তরের আদান প্ৰদান । গোকুলের বেশভূষা দেখে সবাই বুঝলে ওর নিশ্চয় ভাল চাকুরী হয়েচে কলকাতায়। সবাই এই তিন বছরের ইতিহাস শোনবার জন্যে ব্যস্ত। s গোকুল তাদের হাত এড়িয়ে পৈত্রিক বাড়ীর চাবি খুললে। ঘর দোর বিশ্ৰী অপরিষ্কার হয়ে আছে। উঠানে বন জঙ্গল গজিয়েচে । জানালা দরজায় উই ধরেচে, কড়িকাঠে বাদুড় চামচিকের বাসা। পাশের বাড়ীর ছোট ছেলেকে ডেকে একটা হারিকেন লণ্ঠন চেয়ে আনলে ওদের বাড়ী থেকে ৷ তক্তপোষটা থেকে একরাশ চামচিকের নাদি সরিয়ে সেখানে সুটকেসটা রাখলে নামিয়ে। একটু পরে তিনকড়ি মুখুয্যের ছেলে প্রমোদ তাকে ডাকৃতে এলো। প্ৰমোদের বাড়ী যেতে গোকুলের যথেষ্ট সঙ্কোচ বোধ হচ্ছিল। এরই বোন, বীণার সঙ্গে গোকুলের একবার বিয়ের প্রস্তাব হ'য়েছিল বছর তিনেক আগে যে বছর ওরা কলকাতায় যায়, সে বছর। গোকুল বলেছিল। চাকুরী মা গেয়ে সে বিয়ে করবে না। বীণাৱ বয়েস এখন হয়েচে ষোল-সতেরো । এখনো তার বিয়ে হয়নি, একথা গোকুল জানে। বীণাকে ছেলেবেলায় সে সঙ্গে করে নিয়ে কত বেড়িয়েচে, কুল পেড়ে দিয়েচে, কত শাসন করেচে, পাঠশালায়। পড়া বলে দিয়েচে । বাড়ী থেকে যাবার আগে বীণা প্রায়ই ওদের