পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S& fቐዛቛ ሽጣ শ্ৰীপতির বেী গাইলে, রমা এস্রাজ বাজালে। তারপর রমা ও তারা এক সঙ্গে গাইলে । একটিমাত্ৰ তেড়ো-পাখী বঁাশ গাছের মগডালে কোথায় ডাকতে আরম্ভ করেছে। রাত ফরসা হ’ল । ● সে মহাষ্টমীর রাত্রি থেকে গ্রামের সবাই জানলে শ্রীপতির বৌ কি ধরণের মেয়ে । কেবল তারা জানলে না যে শ্ৰীপতির বে। প্ৰতিভাশালিনী গায়িকা, সত্যিকার আর্টিষ্ট । সে ভালবেসে শ্ৰীপতিকে বিয়ে করে এই পাড়াগায়ের বনবাস মাথায় করে নিয়ে, নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছেড়েচে, যশোর আশা, অর্থের আশা, আর্টের চর্চা পৰ্যন্ত ত্যাগ করেছে। তবু গানের ঝোঁক ওকে ছাড়ে না-ভুতে পাওয়ার মত পেয়ে বসে-দিনরাত তাই ওর মুখে গান লেগেই আছে, তাই আজ মহাষ্টমীর দিন সেই নেশার টানেই এই অভিনয়ের আয়োজন করেচেন। শান্তি কিছুতেই ছাড়তে চায় না। ওকে ! বলে তুমি কৈাথাও যেও না বৌদিদি, আমি মরে যাবাে, এখানে তিষ্ঠাতে পারবো না। শান্তি আজকাল শ্ৰীপতির বৌয়ের কাছে গান শেখে, গলা মন্দ নয় এবং একদিকে বাজাতেও শিখেচে । গান বাজনায় আজকাল তার ভারী উৎসাহ । শ্ৰীপতির বেী তো গান বাজনা যদি পেয়েছে, আর বড় একটা কিছু চায় না, শান্তির সঙ্গীত শিক্ষা নিয়েই সে সব সময় মহাব্যস্ত। অগ্রহায়ণ মাসের দিকে বৌয়ের বাড়ী থেকে চিঠি এল রমা কি হয়ে হঠাৎ মারা গিয়েচে । শ্ৰীপতি কলকাতা থেকে সংবাদটা নিয়ে এল । শ্ৰীপতির বৌ খুব কান্নাকািট করলে। পাড়াশুদ্ধ সবাই চোখের জল ফেললে ওকে সাত্মনা দিতে এসে । শান্তি সব সময় বৌদির কাছে কাছে থাকে আজকাল । তাকে