পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by8, किमन्त्र लल বৃদ্ধ তারানাথ উৎসাহে, উত্তেজনায় বালিস বুকে দিয়া খাড়া হইয়া উঠিয়া বসিল । —ইচ্ছে হয় না কে বলেছে ? বললুম তো ঐ তিনমাস বেঁচে ছিলাম। দেবী এসেছিলেন মানুষী হয়ে। এদিকে ষড়ৈশ্বৰ্য্যশালিনী শক্তিরূপিণী যোগিনী, তেজে কাছে ঘেঁষা যায় না-অথচ কি মানবীই হয়ে যেতেন, যখন ধরা দিতেন। আমায় ! প্রিয়ার মত আসতেন। কাছে, অমনই মিষ্টি, অমনই ঠোঁট ফুলিয়ে মাঝে মাঝে অভিমান, বরাকর নদীর ধারের শালবন রাত্রির পর রাত্রি তার মধুর হাসিতে জ্যোৎস্নার মত উজ্জ্বল হয়ে উঠত-এমনি কত রাত ধরে !! এক-এক সময় ভ্ৰম হ’ত তিনি সত্যিই মানুষীই হবেন। বিদায় নিয়ে যাবার সেই রাতটিতে বললেন-নদীতীরের এই তিন মাসের জীবন আমিও কি ভুলব ভেবেছ ? আমাদের পক্ষেও এ সুলভ নয়, ভেব না। আমরা খুব সুখী। আমাদের মত সঙ্গীহারা, বন্ধুহারা জীব কোথায় আছে ? প্রেমের কাঙাল আমরাও। কত দিন পরে এক জন মানুষে আমাদের সত্যিকার চাওয়া চায়, তার জন্যে আমাদের মন সর্বদা তৃষিত হয়ে থাকে। কিন্তু তাই ব’লে নিজেকে সহজলভ্য করতে পারিনে, আগ্ৰহ ক’রে যে না চায় তার কাছে যাই নে, সে আমার প্রেমের মূল্য দেবে না, নিজেও আনন্দ পাবে না, যা কিনা পাওয়া যায় বহু চেয়ে পাওয়ার পরে। কিন্তু আমাদের অদৃষ্টলিপি, কোথাও চিরদিন থাকতে পারিনে-কি না-কি ঘটে যায়, ছেড়ে চলে যেতে হয় অনিচ্ছাসত্ত্বেও । ক’জন আমাদের ডাকে ? ক’জন বিশ্বাস করে ? সুখী ভেব না। আমাকে। বলিলাম-এত যদি সুখের ব্যাপার। তবে আপনি ভয়ঙ্কর বলছিলেন কেন আগে ? --ব্যাপার ভয়ঙ্কর এই জন্যে যে আমার সারা জীবনটা মাটি হয়ে