পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিকল্পন্ন দল 护总 “ডাইনী !” আমি ওসব অন্ধবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দিই না কানেও । “তা বিশ্বাস হবে কেন ? দেখ দিখি আজ দুপুর থেকে শানি কিছু মুখে করছে না। যা খাচ্ছে তাই তুলে ফেলছে।” আমার মাথা ঘুরে গেল। শানি আমার আড়াই বছরের মেয়ে। তার ওপর ডাইনীবুড়ীর কোপ গিয়ে পড়লো কোন দুঃখে ? বিজু তখনও বলে চলেছে, “আচ্ছ। ওদের কি চক্ষুলজ্জাও নেই একটুও ?” আমি বন্ধুম, “তা ডাইনীকে কোথায় দেখলে শুনি ?” “ঐ ওখানে।” অঙ্গুলি সঙ্কেতে বিজু পাশের বাড়ীর একটা ঘর দেখিয়ে দিলে । তার সন্দেহ দেখে আমার সর্বাঙ্গ রী রী করতে লাগলো। আমি অস্ফুট স্বরে বল্লুম, “কমলা ?” “হ্যা গো হ্যা । বিশ্বাস হয় না ?” “আশ্চৰ্য্য ।” “আশ্চৰ্য্য কিছুই নয়। কদিন থেকে দেখছি। ওর ঐ সোহাগ আদৱ-পোড়া কপালীর কপাল যখন পোড়া তখন অপরের কাচাবাচ্ছার ওপর নজর দেওয়া কেন ?” আমি বিজুর প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারলুম না। মাসখানেকের কথা মনে পড়ল। একদিন ঐ পাশের বাড়ীর ঐ ঘরটায় কমল চীৎকার করে উঠলো, “ওরে শোভা রে, তুই কোথায় গেলি রে ? আমায় এমনি করে ফাকি দিলি কেন রে ?” রাত তখন প্ৰায় দশটা, আমি খেতে বসেছি। বিজু আমায় দুধের বাটটা এগিয়ে দিতে দিতে বল্লে, “পাতের গোড়ায় একটু জল দাও।” আমি বল্লুম, “কমলা কঁদছে না ?” *'ड्यांएक श्रां८ङद्ध ८१ांफुभ्र छळ झाl७ क्रिदि ।” সত্যি কমলা কঁদছে। সারা মাতৃ-হৃদয় মথিত করে কন্যার বিচ্ছেদ বেদনায়। দু’মাস আগে শোভা এসেছিল মৰ্ত্ত্যলোকে আর আজ চলে