পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিরণ মালা । ১০৩ বিজয় -“ তাতঃ! আপনি যাহা বলিলেন, সকলই যথার্থ, কিন্তু আমি যে কেবল অসাবধান দোষে দোৰী তাহা নহে । অধৈর্য্যও আমার সকল কষ্টের মূল। যদি ধৈর্য্যশালী হইতাম তাহা হইলে এরূপ বিশৃঙ্খলা ঘটত না। সংসারীর দোষেই সংসারে বিশৃঙ্খলা ও মুশৃঙ্খলা ঘটে, আমি ইহা জানিয়াও ক্রোধের বশবৰ্ত্তী হইয়া অবুঝের মত কাজ করিয়াছি।”—এই বলিয়া মস্তকাবনত করিলেন । যোগী —“ অকস্মাৎ কোন কৰ্ম্মই করিতে নাই । কারণ জগতে যত প্রকার পদার্থ আছে, সকলেই ভিন্ন ভিন্ন গুণবিশিষ্ট । কাহাকে ও বিশ্বাস করিতে নাই। এমন কি বিদ্বান আত্মজ যদি থল হয় তাহাকেও বিশ্বাস করিবে না মণিন। ভূষিত: মপঃ কিমলে ন ভয়ঙ্কর' । বৎস! তুমি সেই খলচক্রুে পড়িয়াছ। যেমন পয়ঃরাশি বিন্দুমাত্র গোমুত্র স্পর্শে নষ্ট হইয় যায়, সেইরূপ থলের চক্রে পড়িয়া ধাৰ্ম্মিক — উদার চঞ্চুতর মতিভ্রংশ হয়। কিন্তু অধিক কাল স্থায়ী নহে। চন্দ্র যেমন রাহু গ্রস্ত হইয়া পুনমুক্তি লাভ করে, সেইরূপ ষে নিজে সৎ, যাহার নে ধৰ্ম্মের ভাব ইয়াছে ; সে কখন একে বারে নষ্ট হয় না। ঈশ্বরের দয়া থাকিলে অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করিলে,-যেমন সেই নষ্ট দুগ্ধ অমরসে মিশ্রিত হইয়া ও শর্করাযোগে উত্তম সুপাদ্য প্রস্তুত হয়;–সেইরূপ, পুনমুক্তি লাভ হয় । কিন্তু যত্ন তাহার মূল, লক্ষ্য ও সাবধানত তাহার শাখা প্রশাখা। তাহার প্রমাণ দেখ, অনেকে সমুদ্র তলে রত্ন প্রত্যাশায় প্রবেশ