কিরণ মালা। ১৭৯ কর নাই ! আমি এবার দেখিব।” বিজয়কুমার দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন--“আর দেখিবে কি, লে না—”বলিয়৷ সত্যকুমারের কোলে মুখ লুকাইলেন। সত্যকুমার ভাবিয়া অস্থির, কিরূপে বিজয়কে শান্তন। করিবেন। যদি ও র্তাহার দুঃখে দুঃখিত তবু কেমনে প্রবোধ দিবেন তাহাই ভাবিতেছেন । প্রবোধই বা দিবেন কি প্রবোধ বাক্য শেষ—আর প্রবোধে এ দুঃখ শাম্য হয়ন। সত্যকুমার বিজয়কে অন্যমন করিবার জন্য মিথ্যাভাণ করিয়া চকিতভাবে উঠিয়া বলিলেন—“ বিজয়! বিজয়! উঠ, দেখ ঐ কে, ঐ ব্যক্তি ? ঐ নৌকা করিয়া আসিতেছে, এই দিকেই আসিতেছে। উহাকে যেন আমি কোথায় দেখিয়াছি, বোধ হইতেছে, কিন্তু ভাল স্মরণ কুইতেছে না, দেখ দেখি যদি তুমি চিনিতে পার।” বিজয় উঠিলেন বটে কিন্তু সে নর কি বানর তাহী,জ্ঞান নাই। এক দৃষ্টি চকিতের ন্যায় চাহিদ রছিলেন। নৌকাখানি ক্রমে নিকটে আসিল । তদুপরে এক জন অল্প বয়স্ক যুবা বসিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে যে সত্যকুমার মিথ্যা করিম বলিয়ছিলেন যে, এল্যক্তি আমার পরিচিত, কিন্তু নৌকা নিকটে আসিলে, সত্যকুমারের সে কথা সত্য বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। ক্রমে তরি জ্ঞাটে আসিয়া লাগিল। যুব একজন নাবিকের পশ্চাৎ পশ্চাৎ অবতরণ করিলেন। হস্ত পদাদি প্রক্ষালন করিতে করিতে একজন নাবিককে একখানি শিশিকার জন্য মলিলেন ।
