পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিরণ মালা । ՎԶ:) মধুমতী নিৰ্ভয়ে উত্তর করিলেন—“বলিও”। পর দিন প্রত্যুষে মাতঙ্গিনী, গত রাত্রের ঘটনা সমস্ত কুভাবে প্রমাণ দেখাইয়া নানা মত অলঙ্কার দিয়া বাটির কর্তা রমাকান্তু বাবুর নিকট বর্ণনা করিল। মধুমতী ভ্রাতার ও অন্যান্য সকলের নিকট তিরস্থত হইলেন ।—এ দিকে দুষ্ট মাতঙ্গিনীর মহা মানন্দ, মধুমতী তাহারই কথায় শাসিত হইলেন ভাবিয়াই তাহার এত আনন্দ । বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তিনী— কোন কথাই প্রকাশ করিতে পারিলেন না,—মধুমতী নিৰ্দোষী হইয়াও দোষীর ন্যায় কত রূঢ় বাক্য সহ্য করিলেন। তাহ না করিবেন কেন ? দুর্ভাগ্য যাহাকে আক্রমণ করে, তাহাকে সকল সহ্য করিতে হয়, সে সকলের নিকট তিরস্থত হয়। মধুমতী সকলের নিকট তিরস্কৃত হইয়া সমস্তদিন মনোদুঃখে কাটাইলেন । দুঃখের দিন শীঘ্ৰ যায় না । ক্রমে দিনমণি ধীরে ধীরে অস্তাচল দিকে বুলিয়া পড়িলেন। তাহার পশ্চাৎ সন্ধ্যাদেবী অন্ধকার বস্ত্রে আবৃত হইয়া ধরাতলে অবতীর্ণ হইলেন । দুর্ভাগ্যের সাহায্যে ক্রমে যামিনীও গভীর মূৰ্ত্তি ধারণ করিল।—যামিনি ! তাহ কর, ক্ষতি নাই, মৃতদেহ খঙ্গাসাতে ব্যথিত হয় না। নিশে! এখন তুমি যত গভীর হও না কেন, দুর্ভাগিনীর জন্য এক মুহুৰ্ত্তও বৃদ্ধি হইবে তাহা তোমার ক্ষমতা নাই—যখন পর দিন প্রভাতে রঘুনন্দন বনগমন করিবেন জানিয়া এবং দশরথের রোদন শুনিয়াও এক পল বৃদ্ধি হইতে পার নাই—যখন মানিনীর জীবন বন্ধুকে র্কাদাইয়া তাহার