পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিরণ মালা । 8.5 করে মধুমতীকে সমর্পণ করিয়া যান। দুর্ভাগ্যবশতঃ তিনিও নিজ দুঃখে সন্ন্যাসিনী ;—দুঃখিনী মধুমতীকে এক দিনের জন্য স্নেহ করে, এমন লোক নাই। ভ্রাত রমাকান্ত, স্ত্রীর মতানুসারে কাৰ্য্য করেন, সত্য মিথ্যা প্রমাণ চাহেন না । ধৰ্ম্ম যদি প্রত্যক্ষ হইত, তাহা হইলে বঙ্গবাসিনী ভাগ্যছানাদিগের এত কষ্ট হইত না—এমন পীড়াও হইত না। জগত প্রবঞ্চনাময় ;—সহৃদয়া মধুমতী তাহা জানিতেন না, তাহা জানিলে বঞ্চকের কুহকে ভুলিতেন না, কুজনের পরামর্শে সম্মত হইতেন না,—তোষামোদ প্রিয়কে তোষামোদ করিয়া তাহার প্রিয় হইতে চেষ্টা করিতেন না, কাহার ও শক্ৰনিন্দ শুনিতেন না,—কোন রসিকার মগ্নীল রসিকতার হাসিতেন না,—এ জন্য প্রায় অনেকের অপ্রিয় এবং অনেকের নিন্দাভাগিনী হইয়মছলেন । তাই বলিয়া কি লজ্জনের কাছে নিন্দনীয় না অপ্রিয়ু ছিলেন ; কখনই না। যদি ও ইদানীং কালের বিপরিত গতি তথাপি পৃথিবীতে সজ্জন লোক ও আছে । সজ্জনের সংখ্যা অল্প, শঠ ও বঞ্চকের সংখ্যাই অধিক, এজন্য শঠের সহিত শঠত না করিলে লৌকিকতা রক্ষণ হয় না,— কিন্তু সৎ তাহাতে অপারক। ক্রমে বেলা অপরাহ্ন হইল, মধুমতী তখন ও কাদিতেছেন আর ভাবিতেছেন—“ এ জীবনে কাজ কি ? ” ইতি মধ্যে ঘরের দ্বার খুলিয়া গেল, মধুমতী দেখিলেন স্বভাষিণী আসিতেছেন তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ দুই এক জন প্রতিবাসিনী