পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 কারারুদ্ধা । মধুমতীর দশা দেখিতে আসিতেছেন,-ক্রমে কক্ষ মধ্যে প্রবেশ করিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে একজন কহিল—* আহা ! চুড়ির কি কপাল মন্দ। অবশেষে আবার পাগল হলো "-ञाष्ट्र এক জন কহিল—“নিজ কৰ্ম্মদোষে।” অপর নারী কহিল— "ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম করিয়াও!” সে কে ? সে পরমুখপীড়িত সুষমা। মধুমতী তাহার সেই কুটিল ভাবপূর্ণ বাক্য শুনিয়া অন্তরে দুঃখ পাইলেন। আর একটি রমণী কাতর বচনে সাশ্রনয়নে মধুমতীকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন—“এখন কেবল করুণা ময়ের নিকট দুঃখ জানাও, সেই দীন বন্ধুই তোমার দুঃখনাশের কৰ্ত্তা, মামুষেই অবিচার করে, তিনি কখন অবিচার করেন न ।’ এইরূপে সকলেই মধুমতীর অবস্থা দর্শনে নিজ নিজ স্বভাবের পরিচয় দিতে লাগিলেন। মধুমতীর দুঃখ দর্পণে সকলেরই স্বভাব প্রতিফলিত হইতে লাগিল। ক্রমে সকল ব্রাক্ষিক সহৃদয়া সুবুদ্ধিমতীর হৃদয়ের ভাব প্রকাশ পাইতে লাগিল, এবং সকলেই স্ব স্ব স্বভাবগুণে বিষময় ও মধুময় বাক প্রয়োগে মহত্বের প্রমাণ দিতে আরম্ভ করিলেন।