পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিরণ মালা । , ¢ ማ সুভাষিনীর নিকট রাহিয়াছেন । সুভাষিনী ও পুত্র কন্য না থাকায় কিরণমালাকে আপন कमTtद्ध नTाङ्ग cन्नइ করিতেন। কিরণমালার যখন পিতা মাতার মৃত্যু হয়, তখন তাহার বয়ঃক্রম দ্বাদশ বৎসর, এখন চতুর্দশ বৎসরে পদার্পণ করিয়াছেন। যদি ও দুঃখে ক্লেশে মনের কষ্টে মলিনা হইয়াছেন তথাপি সৌন্দৰ্য্য যৌবনের প্রারস্তে বাল্যাবস্থা অপেক্ষ অধিকতর বৃদ্ধি হইয়াছে । তাহার আর আশ্চর্য্য কি । কিরণমালা সুন্দরী কিন্তু কটা সুন্দরী নহেন । আমরা যাহাকে উজ্জল শু্যামবর্ণ বলি, কিরণমালার সেই বর্ণ—সুকুমার গঠন – সহাস্য বদন–শাস্ত প্রকৃতি—মুখোশোভা অতুল বলিব না, কিন্তু তুলনা অল্প মেলে। যে মুখের সৌন্দর্য নয়নকে আকর্ষণ করে—দেখিলেই প্রীতি জন্মায়, সহস্রবার দেখিলেও আবার দেখিবার জন্য মন ব্যাকুলিত হয়—এ সেই মুগ, যে মুখ দেখিলে বৃদ্ধের স্নেহ জন্মায়, যুবার অনুরাগ জন্মায়, বালকের ভক্তি জন্মায়, এ সেই মুখ । মেঘাচ্ছন্ন দিবসে শতদল হুর্যের উদয়ে যেমন ঈষৎ প্রস্ফুটিত ও মুদিত হয়। সেইরূপ যৌবনের প্রারস্তৈ কিরণমালার মুখপদ্ম ঈশং বিকশিত - দৃষ্টি মধুর, সলজ ভাবে পূর্ণ—বাক্য অমৃতময় বিনয় পূর্ণ-হাস্য মৃদু-চলন ধীর-স্বভাব সরল। কিরণমালা যেমন তুন্দরী তেমনি গুণবতী ছিলেন । লেখা পড়ায়, শিল্প কার্য্যে তাহার একান্ত আসক্তি ছিল ; এত দুঃখে পরের গৃহে থাকিয়াও তিনি শিল্প ও লেখাপড়া উত্তমরূপ শিখিয়া ছিলেন । সে বৎসর