Wა o আশা অঙ্ক রিত। মলিন ছিল। এখন তাহ বিস্ফারিত—দৃষ্টি যাহা পৃথিবীকে শূণ্যময় বোধ করিয়া ইতস্ততঃ ঘুরিতে ছিল এখন তাহা সরলতা মধুরত। ব্যঞ্জক ! শরৎচন্দ্র কিরণমালার মূৰ্ত্তি হৃদয়ে অঙ্কিত করিয়া সুভাষিণীর নিকট হইতে বিদায়-লইলেন। একটী রমণী মূৰ্ত্তি হৃদয়ে অঙ্কিত করিয়া শরৎচন্দ্র গুহে আসিলেন, তাহার প্রথম ভাবনা কিরণমালাকে দেখিয়া তাহার মন এত অস্থির হইল কেন ? নয়ন কিরণমালাকে দেখিবার জন্য এত উৎসুক কেন ? হৃদয় কিরণমালাকে আনিয়া হৃদয় মধ্যে প্রিয়তম আসনে বসাইবার জন্য এত লালায়িত কেন ? পরিশেষে চির স্মৃণিত রিবাহ করিবার ইচ্ছা এত বলবতী হইল কেন ?—“ একটী রমণী দেখিয়া পাগল হইলাম—” বলিয়া শরচ্চন্দ্র নিজের পড়িবার ঘরে একখানি কাষ্ঠাসনে উপবেশন করিলেন, সম্মুখে নানাবিধ পুস্তক ছড়ান রহিয়াছে, একবার এখানি, একবার ওখানি করিয়া সমস্ত পুস্তক গুলি দেখিলেন ; কিন্তু একখানি ও ভাল লাগিল না। পরিশেষে বাটার সম্মুখস্থিত উদ্যানে, বেড়াইতে যাইলেন, তথায় মনের অস্থিরতা যাইল না । গৃহে ফিরিয়া আসিলেন । বাড়ির চাকর ঘরে আলো দিয়া গেল। শরচ্চন্দ্র একখানি পালঙ্কের উপর বসিলেন, এমন সময়ে তাহার বন্ধু ললিতমোহন আসিয়া উপস্থিত হইলেন । ললিত —“ কি হে শরত ! একাকী এখানে বসিয়া কি ভাবিতেছ ? ভগ্নির বাড়ি হইতে কবে অমিলে ?
