কিশোর লাগিল। এই প্রকারে ক্লাসের পাঁচজন ছাত্ৰই একে একে আমার কর্ণমর্দন করিয়া উপরে গেল, আমি সকলের নীচে যাইয়া পড়িলাম। তখন আমার মাথা দিয়া আগুন বাহির হইতেছিল ; আমি সত্য সত্যই চক্ষে অন্ধকার দেখিয়াছিলাম । রাগে, ক্ষোভে, অপমানে আমাকে যেন কেমন করিয়া ফেলিয়াছিল । আমার কান্দিবার শক্তি অপহদত হইয়াছিল। আমার মুখের মধ্য হইতে আরম্ভ করিয়া বুকের ভিতর পর্য্যন্ত শুকাইয়া গিয়াছিল । ইহাতেও শাস্তির শেষ হইল না । পণ্ডিত মহাশয় যখন দেখিলেন যে, আমার কণমর্দনের জন্য ছাত্ৰাভাব, তখন তিনি স্বয়ং সেই অভাব পরিপূরণের জন্য আসন ত্যাগ করিলেন এবং আমার নিকটে আসিয়া আমার কাণ ধরিয়া বেঞ্চের উপর দাড় করাইয়া দিলেন । আমার শাস্তির শেষ হইল। এতক্ষণও আমি চুপ করিয়াছিলাম ; কিন্তু পাঠকগণ ক্ষমা করিবেন, আমি তখন নয় দশ বৎসর বয়সের বালক, আমাকে যে জেলের হাতে কাণমলা খাইতে হইল, ইহাই আমার হৃদয়ে বড় বাজিল । আমি উচ্চ বংশের ছেলে, আমাকে কি না জেলেতে কাণ মলিল । তখন সত্যসত্যই আমি ভুলিয়া গিয়াছিলাম যে, তিনি আমার গুরু, আমি তঁহার শিস্য ; তঁাহার জাতির 8
