তাহার হিসাব দাখিল করিবার আবশ্যক নাই ; কিন্তু তঁাহার এই দীর্ঘকালব্যাপী শিক্ষক-জীবনের অভিজ্ঞতা ব্যর্থ হয় নাই । তিনি প্ৰায় দুই যুগ কাল অবিচ্ছিন্ন ভাবে যাহাঁদের সহিত মিশিয়াছেন, যাহাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বিষাদ, আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত নিত্য পরিচিত হইয়াছেন, এবং যাহাঁদের হৃদয়ের প্রত্যেক ভাব ও সুকোমল বৃত্তি সহানুভূতির তুলিকায় স্বীয় হৃদয়পটে অঙ্কিত করিয়া রাখিয়াছিলেন, তাহদেরই চরিত্র বিশ্লেষণ করিয়া এত দিন পরে এই প্ৰাচীন বয়সে তিনি কয়েকখানি উজ্জ্বল চিত্র আমাদের সম্মুখে স্থাপিত করিয়াছেন ; এবং বিচিত্ৰ বৰ্ণরাগে ও ভাব-তুলিকাংস্পর্শে তাহা এমন মনোরম হইয়াছে যে, সেগুলি বঙ্গ-সাহিত্যের দরবারমণ্ডপের শোভা সম্পাদনের সম্পূর্ণ যোগ্য, এ কথা অসঙ্কোচে বলিতে পারি। বস্তুতঃ, “কিশোরে’। তিনি বঙ্গীয় কিশোর-জীবনের যে আলেখ্য অঙ্কিত করিয়াছেন,-- তাহ কেবল কিশোর-কিশোরীগণের নহে, তাহাদের পিতা পিতামহগণেরও চিত্তরঞ্জনে সমর্থ হইবে ।-“কিশোরে’র কোনও গল্পেই। নিৰ্ম্মল সাহিত্য-রাসের অভাব নাই । জলধর বাবুর এই গল্পগুলি বালক বুদ্ধ সকলেরই চিত্তরঞ্জন করিবে: কেন, ইহাব ব্যাখ্যা নিম্প্রয়োজন। কোন জিনিস কেন ভাল লাগে, তাহা বুঝাইয়া দেওয়াও কঠিন । কিশোরের প্রথম গল্প “মায়ের বলি” হইতে আরম্ভ করিয়া শেষ গল্প “পূজার পোষাক।” পৰ্যন্ত গল্পগুলির অধিকাংশেই পল্লীগ্রামের দরিদ্র গৃহস্থ পরিবারের এক একটি নূতন চিত্র সুপরিস্ফুট ; আমাদের ন্যায় পল্লীবাসীর নিকট তাহা অত্যন্ত সাধারণা,-সকলেরই DBDDS DBuOB D LBESS DDDDDS BBg DBB0 Btu BDS কৃত্রিমতার লেশমাত্র নাই ; যেন এক-একটি সরল সুন্দর গৃহস্থ জীবনের স্বাভাবিক ছবি ঐন্দ্ৰজালিকের ইঙ্গিতে আমাদেয় কল্পনা-নেত্রের সম্মুখে মায়াচিত্রের ন্যায় ধীরে ধীরে ফুটিয়া উঠিয়া বায়স্কোপের ছবির মত নয়নপণের অন্তরালে চলিয়া যাইতেছে ; সঙ্গে সঙ্গে ঐন্দ্রজালিক লেখকের
