রাঙ্গ র্যাপার আশা করা কীৰ্ত্তব্য নহে তাহা জানি ; কিন্তু অভাবনামক পদার্থটি অনেক সময়েই কৰ্ত্তব্যের ধার ধারে না । আমার অবস্থাটা শুনুন। বাবার মৃত্যুর পূর্বেই আমার বিবাহ হয় এবং আমি যখন কলেজে পড়ি, তখনই পিতৃদেব পৌত্রীর মুখ দৰ্শন করিয়াছিলেন। তাহার পর এই ১৪ বৎসরে আমার একটি পুত্র এবং আর একটি কন্যা লাভ হইয়াছে। আজ ছয়মাস হইল, অনেক চেষ্টায় বড় মেয়েটির বিবাহ দিয়াছি । মাষ্টারী করিয়াও যাহা দুই পয়সা সঞ্চয় করিতে পারিয়াছিলাম, তাহা কন্যার বিবাহে উড়িয়া গিয়াছে ; তাহা ছাড়া একটি বন্ধুর নিকট তিনশত টাকা ধার করিতে হইয়াছে । তাহার একটি পয়সা ও শোধ দিতে পারি নাই । অজিতকুমার লেখা পড়া শিখিয়া মানুষ হয় এবং যদি তাহাকে স্কুল-মাষ্টারী করিতে না হয়, তাহা হইলে হয় ত কালে বন্ধুবর র্তাহার টাকা পাইলেও পাইতে পারেন। শ্রাবণ মাসে মেয়ের বিবাহ দিয়াছি । দুই মাস যাইতে না ঘাইতেই পূজা আসিল । অবস্থা যেমনই হউক, নূতন জামাইকে পূজার-তত্ত্ব করিতে হইল। ছেলে-মেয়েরা প্ৰতি বৎসর পূজার সময় সামান্য ধূতি জামা প্ৰভৃতি যাহা পাইত, এবার তাহা ও বন্ধ হইয়া গেল । পুজার তত্ত্বের জন্য দোকানে ՏԳ
