পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর যখন স্কুল থেকে আসছিলাম, তখন দেখি বড় রাস্তার মোড়ের কাছে একটা বউ ছোট একটা ছেলেকে কোলে ক’রে বসে আছে। ছেলেটি খুব ছোট, তার গায়ে একটু কাপড়ও নেই ; তার মায়ের যে ময়লা কাপড় তাও একেবারে ছেড়া । মা শীতে কঁাপিছে, ছেলেটি তার কোলের মধ্যে, সেও কঁপিছে। তাই দেখে আমার মনটা বড় কেমন হল । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ‘ওগো তোমরা এমন ক’রে বসে আছ কেন ?” আমার দিকে চেয়ে মা বল্লে, “বাবা, আমরা বড় গরীব, খেতে পাইনে, শীতেও ম’রে যাচ্ছি।” বাবা, সে কথা শুনে আমার তখন মনে হ’ল, আজই ত স্কুলে পড়ে এলাম, ‘গরীব-দুঃখীকে দয়া করিও ; যথাসাধ্য তাহদের সাহায্য করিও।” পণ্ডিত মহাশয় বল্লেন, “এ শুধু পড়লে হয় না, এই রকম কাজ কোরো ।” আমার সেই কথা মনে হ’ল । আমি তখন তাকে আমার র্যাপারখানা দিতে গেলাম। মাটিা কিছুতেই নিতে চায় না। আমি বললাম, “আমার আরও গায়ের কাপড় আছে । তোমরা এখনি নিলে আমার বাবা মা রাগ করবেন। না, এমনই কত কথা বলতে তবে মা র্যাপারখানা নিয়ে তার ছেলের গায়ে জড়াইয়া দিল । তা বাবা, আমার গায়ের কাপড়ের দরকার নেই, আমার যে পুরাণে র্যাপার আছে, আমি তাই গায়ে দেব । ছোড়া হ’লেও তাতে শীত মানে ৷” У е о