পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किचांद्र মা বলিলেন, “এখন উপায়! যা কিছু ছিল, সকলই ত গেল ; আর ত বিক্রীর মত কিছুই নাই। কা’ল সকালেই যে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য আসবে। তার দুইটি টাকা কোথায় পাব ? তার পর কা’ল যে ছেলেটির মুখে কি দেব, তা ত ভেবেই পাচ্ছি নে, ঘরে যে কিছুই নাই। হা অদৃষ্ট !” মেয়ে বলিল, “ভেবে কি হবে মা ! অদৃষ্টে যা থাকে তাই হবে। এতদিন যা করি নাই, কা’ল থেকে তাই করব ; কাল থেকে ভিক্ষায় যাব । আর উপায় কি ?” মা বলিলেন, “না নিরু, তা হবে না । এই ঘরে প’ড়ে তিনজনে মরব, তাও স্বীকার, ভিক্ষা করতে পারব না।” নিরুপমা বলিল, “তা ছাড়া আর কি পথ আছে ? পাশের বাড়ীর ওদের বলেছি যে ওদের বাড়ীর পুরুষেরা যদি কোন দোকান থেকে সেলাইয়ের কাজ এনে দেন, তা হ’লে আমরা সেলাই ক’রে দিতে পারি ; তঁরা আমাদের পরিশ্রমের জন্য যা দয়া ক’রে দেবেন, তাই আমরা নেব । ও বাড়ীর বাবু ত বলেছেন, আজ যা হয় একটা ঠিক ক’রে আসবেন । এখনও তঁর আসবার সময় হয় নাই । তিনি বাড়ী এলেই ও বাড়ীর মেয়ের খবর দিয়ে যাবেন।” মাতা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “দেখ ।” তাহার পর ছেলেটির দিকে চাহিয়া বলিলেন, “অমর, কা’ল ত N 0 8