किंब्र তেমনই আমার মত পুত্রেরও পিতা কলেজে ছিলেন। আমি প্রেসিডেন্সি কলেজ হইতে যথাক্রমে এল-এ, বিএ, এম-এ, অবশেষে বি-এল, পৰ্য্যন্ত পাশ করিলাম। বাবা সংসার চালান, আর ধ্রুবকে লইয়া থাকেন। আমি, কলেজে যাই, পড়াশুনা করি, পরীক্ষা দিই, পাশ করি। বাবা খাইতে দেন, পরিতে দেন, আমি নিশ্চিন্ত হইয়া লেখাপড়া করি।--স্ত্রী-পুত্রের ভাবনা আমাকে ভাবিতে হইত না ; চাউলের দর জানিবারও আমার আবশ্যকতা ছিল না ; কি দিয়া কেমন করিয়া সংসার চলে, সে চিন্তা আমাকে কোনদিনও করিতে হয় নাই-বাবাও কোন দিন আমাকে তাহা জানিতে দেন নাই। ধ্রুবই বাবার জীবনের ধ্রুবতারা হইয়াছিল; তোমার সেই একমাত্র अठन् । বি-এল পাশ করিয়া আমি আলিপুরে ওকালতী আরম্ভ করিলাম। বাবার আর একটা খরচ বাড়িল ; এখন আমাকে প্ৰতিদিন ট্রামভাড়া ও জলখাবার ইত্যাদির জন্য আট আনা দিতে হইত। এক বৎসর ওকালতীর পর হিসাব করিয়া দেখিলাম, আমি ২৭ ॥৩/০ সাতাইশ টাকা এগাের আনা রোজগার করিয়াছি। এগার আনা কি করিয়া পাইয়াছিলাম, সে হিসাবটা এইস্থানে দিই। এক SV8
