পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর খায়, তাহারা মুখে চোখে কথা বলে, তাহারা দুনিয়ার সমস্ত খবরই রাখে ; অর্থাৎ এখনকার বারো তেরো বৎসর বয়সের ছেলে মানুষের মত হইয়া থাকে—ছেলেমানুষ থাকে না । কিন্তু ৪০ বৎসর পূর্বে এমন ছিল না। তখন ছেলের বয়স যতই বেশী হউক না কেন, তাহারা যতই বুদ্ধিমান হউক না কেন, এখনকার মত চালাক চতুর হইত না । বিশেষ আমরা পাড়া গেয়ে মানুষ, আমরা তখন লালপাগড়ী দেখিলে ভয়ে রান্নাঘরে মায়ের অঞ্চলের নীচে লুকাইতাম ; সাহেব দেখিলে আমাদের মুখ শুকাইয়া যাইত, বাকশক্তি লোপ পাইত । গুরুজনের সম্মুখে কথা বলিতে হইলে আমাদিগকে দশ বার “থতমত খাইতে হইত। তাই পঙ্কিম বাবু বড় দুঃখে বলিয়াছিলেন “এখনকার দিনে যত বড় মুখ ছেলে, তত বড় লম্বা স্পিচ ঝাড়ে ”—তবে আমাদের মধ্যেও তখন পাড়া গেয়ে রকমের দুষ্টামি ছিল । আমি এই রকম পাড়া গেয়ে ছেলে। গ্রামের স্কুলে পন্ডিতাম । ছুটির পর সকল ছেলে যখন হাডুডুডু খেলিত বা ঘুড়ি উড়াইত আমি তখন বসিয়া বসিয়া দেখিতাম। খেলায় যোগ দিতে আমার সাহসে কুলাইত না । এখন আমার পাঁচ বৎসর বয়সের ছেলে ফুটবলে যে ঠোক্কর মারে তাহা cलथिशl अवांक् श्व। वोंदे ।