পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার সন্তান জিজ্ঞাসা করিলে আমি কঁাপিতে কঁাপিতে, কঁাদিতে কঁাদিতে আমার নাম বলিলাম। ঠাকুর আমার নাম শুনিয়াই অবাক । বলিলেন, তু’ই এত রাত্রে এখানে, রস চুরি কৰ্ত্তে এসেছিস বুঝি ? তোকে ত ভাল ছেলে ব’লেই জানতাম। তোর এ বিদ্যা কতদিন থেকে হয়েছে ?” আমি তখন কঁাদিতে কঁাদিতে সকল কথা তাহাকে খুলিয়া বলিলাম। অসৎ সংসর্গে পড়িয়া এই প্ৰথম আমি দুষ্কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলাম, তাহা তিনি আমার কথাতেই বুঝিতে পারিলেন। তখন তিনি আমাকে আশ্বস্ত করিয়া বলিলেন, “তোর কোন ভয় নাই। আজ আর আমি তোকে কিছু বলছিনে। কিন্তু খবরদার, ঐ সব বাদ ছেলের সঙ্গে আর কখনও মিশিস না। আবার যদি তোকে এমন কাজ করতে দেখি, তা হ’লে আমি ত মা’র বই, তারপর তোর দাদাকেও বলে দেব। চল, তোকে বাড়ী রেখে আসি। কাল সকালে আমাদের বাড়া আসিস, তোকে এক ঘটা রস দেবো । আর যেদিন তোর রস খাবার ইচছা হবে আমাকে বলিস, তোকে পেট ভরে রস খাওয়াব।” এই বলিয়া তিনি - আমাকে সঙ্গে লইয়া আমাদের বাড়ীতে রাখিয়া আসিলেন । এত রাত্ৰিতে বাড়ী ফিরিতে দেখিয়া মা জিজ্ঞাসা করিলেন, “পড়া ছেড়ে এই রাত দুপুরে বাড়ী এলি যে ? আমি মার কাছে কখনও কোন কথা লুকাই নাই; তঁাকে সব কথাই 6ܢ