পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর পণ্ডিত মহাশয়ের সহিত আমাদের ব্যবহার মনে করিয়া সেদিন সত্য সত্যই আমি একটু অনুতপ্ত হইয়াছিলাম। কিন্তু তাহার পরে আর সে কথা মনে ছিল না । পণ্ডিত মহাশয়কেও আর আমাদের পাড়ায় দেখিতে পাই নাই-বোধ হয় সেই দিনই তিনি বাসা পরিবর্তন করিয়াছিলেন, অথবা দেশে চলিয়া গিয়াছিলেন । ইহার দুই মাস পরে আমি একদিন কর্ণওয়ালিশ প্লট দিয়া বাড়ীর দিকে যাইতেছি, এমন সময়ে পথের মধ্যে দেখি --সেই পণ্ডিত মহাশয় । তাহার মলিন বসন, শুষ্ক বদন, উদাস দৃষ্টি দেখিয়া আমি বেশ বুঝিতে পারিলাম, পণ্ডিত মহাশয় আর কোথাও চাকুরী জোটাইতে পারেন নাই । আমি তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া “পণ্ডিত মহাশয়, নমস্কার” বলিতেই তিনি আমার মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “বাপু, ভাল আছি ত ?” আমি বলিলাম, “আজ্ঞে,-আমায় চিনতে পেরেছেন কি ?” তিনি একটু সন্ধুচিতভাবে বলিলেন, “তোমায় কোথায় যেন-আরো অর্থাৎ-দেখেছি । কিন্তু ঠিক ঠাওর কৰ্ত্তে পারছি না।” আমি বলিলাম, “আমি যতীন। আপনি আমাদের স্কুলের পণ্ডিত মহাশয় ছিলেন ।” পণ্ডিত মহাশয় তখন সহাস্যবিদনে বলিলেন, “হা, হঁ, এখন চিনতে পারছি—যতীন।” আমি বলিলাম, “পণ্ডিত মহাশয়, (? ど)